ETV Bharat / state

হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিকাশ ভবনের 100 মিটারের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান - আজকের খবর অবস্থান-বিক্ষোভ

কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক বিকাশ ভবনের কাছে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন । দাবি, ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো চালু এবং স্থায়ীকরণ ।

পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান
author img

By

Published : Nov 11, 2019, 10:40 PM IST

কলকাতা, 11 নভেম্বর: সোমবার কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক বিকাশ ভবনের কাছে জমায়েত হয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন । তাঁদের দাবি, ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো চালু এবং স্থায়ীকরণ । বিকাশ ভবনের 100 মিটারের মধ্যে করুণাময়ী মেলা মাঠের বাইরে পার্শ্বশিক্ষকরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন । আন্দোলনকারীরা জানান, বিকাশ ভবনের 100 মিটারের মধ্যে 144 ধারা জারি করে রেখেছে রাজ্য সরকার । তাঁরা হাইকোর্টের বিশেষ অনুমতি নিয়ে সেখানে অবস্থানে বসেছেন ।

গত রবিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিকাশ ভবনের ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থানে বসার অনুমতি দেয় পার্শ্বশিক্ষকদের । পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের সহ-আহ্বায়ক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সহায়ক কর্মী ইউনিয়নের জেনেরাল সেক্রেটারি মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দুটো দাবি । একটা হল, আমরা ১৫ বছর ধরে কাজ করছি, কিন্তু যে অসম্মানের জায়গায় রাজ্য সরকার আমাদের ফেলে রেখেছে সেই অসম্মান আমরা আর মানবো না । আমাদের পূর্ণশিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে । দ্বিতীয় দাবি, আমাদের এখনও পর্যন্ত থোক টাকায় পারিশ্রমিক দেওয়া হয় । কোনও বেতন দেওয়া হয় না । আমরা চাইছি বেতন কাঠামো, গ্রেড-পে উইথ পে-ব্যান্ড, যেটা সহকারি শিক্ষকরা পাচ্ছেন । এ ছাড়া, পার্শ্ব শিক্ষকদের ৭০ শতাংশ শিক্ষিকা । তাঁরা এখনও চাইল্ড কেয়ার লিভের (CCL) অধিকার পাননি । অবিলম্বে আমাদের CCL-এর অধিকার চাই ।"

রাজ্য সরকারের প্রতি মধুমিতার প্রশ্ন, "আমাদের বেতন প্রাথমিক স্তরের জন্য ১০ হাজার টাকা ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৩ হাজার টাকা । কেন এই শোষণ? কেন এই বঞ্চনা ? তাহলে কি যে কাটমানির কথা আমরা চারিদিকে শুনতে পাচ্ছি সেই কাটমানিটাই রাজ্য সরকার নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের পকেট কেটে ?"

পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যৌথ আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "আমাদের মূল দাবি সমকাজে সমবেতনের নিরিখে বেতন কাঠামো চালু করা হোক । দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় থেকেও আমাদের চাকরির নিরাপত্তা নেই । আমরা চাইছি ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো অবিলম্বে চালু করা হোক । এই সরকার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বঞ্চনা করছে । কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দেয় তা থেকে এই সরকার কেটে নিচ্ছে । PAB রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯-এ কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে এবং উচ্চপ্রাথমিকের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা দেয় । এর উপরে রাজ্যের আরও ৪০ শতাংশ দেওয়ার কথা । কিন্তু, আমরা পাচ্ছি প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা এবং উচ্চপ্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১৩ হাজার টাকা । শুধুমাত্র আর্থিক অনটনের জন্যই গত তিন বছরে প্রায় ১০০ জনের মতো পার্শ্বশিক্ষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে । তাঁদের পরিবারকে রাজ্য সরকার একটি পয়সা দিয়ে সাহায্য করেনি ।"

দেখুন ভিডিয়ো...

কলকাতা, 11 নভেম্বর: সোমবার কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক বিকাশ ভবনের কাছে জমায়েত হয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন । তাঁদের দাবি, ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো চালু এবং স্থায়ীকরণ । বিকাশ ভবনের 100 মিটারের মধ্যে করুণাময়ী মেলা মাঠের বাইরে পার্শ্বশিক্ষকরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন । আন্দোলনকারীরা জানান, বিকাশ ভবনের 100 মিটারের মধ্যে 144 ধারা জারি করে রেখেছে রাজ্য সরকার । তাঁরা হাইকোর্টের বিশেষ অনুমতি নিয়ে সেখানে অবস্থানে বসেছেন ।

গত রবিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিকাশ ভবনের ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থানে বসার অনুমতি দেয় পার্শ্বশিক্ষকদের । পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের সহ-আহ্বায়ক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সহায়ক কর্মী ইউনিয়নের জেনেরাল সেক্রেটারি মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দুটো দাবি । একটা হল, আমরা ১৫ বছর ধরে কাজ করছি, কিন্তু যে অসম্মানের জায়গায় রাজ্য সরকার আমাদের ফেলে রেখেছে সেই অসম্মান আমরা আর মানবো না । আমাদের পূর্ণশিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে । দ্বিতীয় দাবি, আমাদের এখনও পর্যন্ত থোক টাকায় পারিশ্রমিক দেওয়া হয় । কোনও বেতন দেওয়া হয় না । আমরা চাইছি বেতন কাঠামো, গ্রেড-পে উইথ পে-ব্যান্ড, যেটা সহকারি শিক্ষকরা পাচ্ছেন । এ ছাড়া, পার্শ্ব শিক্ষকদের ৭০ শতাংশ শিক্ষিকা । তাঁরা এখনও চাইল্ড কেয়ার লিভের (CCL) অধিকার পাননি । অবিলম্বে আমাদের CCL-এর অধিকার চাই ।"

রাজ্য সরকারের প্রতি মধুমিতার প্রশ্ন, "আমাদের বেতন প্রাথমিক স্তরের জন্য ১০ হাজার টাকা ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৩ হাজার টাকা । কেন এই শোষণ? কেন এই বঞ্চনা ? তাহলে কি যে কাটমানির কথা আমরা চারিদিকে শুনতে পাচ্ছি সেই কাটমানিটাই রাজ্য সরকার নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের পকেট কেটে ?"

পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যৌথ আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "আমাদের মূল দাবি সমকাজে সমবেতনের নিরিখে বেতন কাঠামো চালু করা হোক । দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় থেকেও আমাদের চাকরির নিরাপত্তা নেই । আমরা চাইছি ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো অবিলম্বে চালু করা হোক । এই সরকার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বঞ্চনা করছে । কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দেয় তা থেকে এই সরকার কেটে নিচ্ছে । PAB রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯-এ কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে এবং উচ্চপ্রাথমিকের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা দেয় । এর উপরে রাজ্যের আরও ৪০ শতাংশ দেওয়ার কথা । কিন্তু, আমরা পাচ্ছি প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা এবং উচ্চপ্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১৩ হাজার টাকা । শুধুমাত্র আর্থিক অনটনের জন্যই গত তিন বছরে প্রায় ১০০ জনের মতো পার্শ্বশিক্ষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে । তাঁদের পরিবারকে রাজ্য সরকার একটি পয়সা দিয়ে সাহায্য করেনি ।"

দেখুন ভিডিয়ো...
Intro:কলকাতা, ১১ নভেম্বর: বার বার রাস্তায় নামার অনুমতি চেয়ে তা মেলেনি পুলিশের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত অবস্থানে বসার অনুমতি পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পার্শ্বশিক্ষকরা। গত রবিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে বিকাশ ভবনের ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করার অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা। অনুমতি পাওয়ার পরই আজ থেকে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের কাছেই করুণাময়ী মেলা মাঠের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করলেন হাজারে হাজারে পার্শ্বশিক্ষক। তাঁদের প্রধান দাবি, ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে তাঁদের জন্য উপযুক্ত বেতন কাঠামো চালু করা এবং স্থায়ীকরণ। দাবি পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা।
Body:নিজেদের অবস্থান-বিক্ষোভের দাবি নিয়ে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের সহ-আহ্বায়ক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সহায়ক কর্মী ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি মধুমিতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দুটো দাবি। একটা হল আমরা ১৫ বছর ধরে কাজ করছি, যে অসম্মানের জায়গায় রাজ্য সরকার আমাদের ফেলে রেখেছে সেই অসম্মান আমরা আর মানবো না। আমাদের পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে, সামাজিক মর্যাদা দিয়ে, আমাদের সহকারি শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। আমাদের দ্বিতীয় দাবি, আমাদের এখনো পর্যন্ত থোক টাকায় পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কোনও বেতন দেওয়া হয় না। আমরা চাইছি বেতন কাঠামো, গ্রেড-পে উইথ পে-ব্যান্ড যেটা সহকারি শিক্ষকরা পাচ্ছেন সেই বেতন কাঠামো অবিলম্বে আমাদের জন্য রাজ্য সরকারকে চালু করতে হবে। এ ছাড়া, আমাদের পার্শ্ব শিক্ষকদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পার্শ্ব শিক্ষিকা কাজ করছেন। তাঁরা এখনও চাইল্ড কেয়ার লিভের (CCL) অধিকার পাননি। সেই পার্শ্ব শিক্ষিকাদের জন্য অবিলম্বে আমাদের এই CCL-এর অধিকার চাই।"

অবস্থান-বিক্ষোভ করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল পার্শ্বশিক্ষকদের। সেই বিষয়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যৌথ আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "আমাদের মূল দাবি হচ্ছে সমকাজে সমবেতনের নিরিখে বেতন কাঠামো প্রদান। আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় থেকেও আমাদের চাকরির কোনও নিরাপত্তা নেই। আমরা চাইছি ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো অবিলম্বে চালু করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে এবং ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালিত হয়নি। দীর্ঘ নয় বছর ধরে যখন আমরা দেখলাম এই প্রতিশ্রুতি পালিত হয়নি তখন আমরা বারবার রাস্তায় নামার জন্য বিধাননগর কমিশনারেটের কাছে আবেদন করেছি। সেই আবেদন বারবার খারিজ করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার শুধুমাত্র পার্শ্ব শিক্ষকদের দমানোর জন্য রবিবার ছুটির দিনেও ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে। সেখানেও আমরা যে রায় পেয়েছি সেটা অভূতপূর্ব।"

সুপ্রিম কোর্টের সমকাজে সমবেতনের রায় সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার পার্শ্বশিক্ষকরা। এই বঞ্চনা নিয়ে ভগীরথ ঘোষ বলেন, "এই সরকার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বঞ্চনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা আমাদের দেয় সেই টাকাটা এই সরকার পুরোটা কেটে নিচ্ছে। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে আমরা PAB রিপোর্ট ২০১৯-এ যেটা দেখতে পাচ্ছি সেটা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা এবং উচ্চপ্রাথমিকের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা দিচ্ছে। এর উপরে রাজ্যের ৪০ শতাংশ ভাগ দেওয়ার কথা, ১০ হাজার ও ১৩ হাজার। অর্থাৎ, বর্তমানে আমাদের বেতন হওয়ার কথা প্রাথমিকে ২৫ হাজার টাকা ও উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু, সেই টাকা আমরা পাচ্ছি না। আমরা এই মুহূর্তে পাচ্ছি প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা এবং উচ্চপ্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১৩ হাজার টাকা। সেই জায়গা থেকে গত তিন বছরে প্রায় ১০০ জনের মতো পার্শ্বশিক্ষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে শুধুমাত্র আর্থিক অনটনের কারণে। তাঁদের পরিবারকে এই সরকার একটি পয়সা দিয়ে সাহায্য করেনি।"

বঞ্চনা নিয়ে মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের বেতন প্রাথমিক স্তরের জন্য ১০ হাজার টাকা ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৩ হাজার টাকা। কেন এই শোষণ? কেন এই বঞ্চনা। তাহলে কি যে কাটমানির কথা আমরা চারিদিকে শুনতে পাচ্ছি সেই কাটমানিটাই রাজ্য সরকার নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের পকেট কেটে।" আজ থেকে তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশে টানা সাতদিন এই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। তারপরেও দাবি না মিটলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.