কলকাতা, 3 এপ্রিল : রাজ্যজুড়ে কোরোনা আতঙ্ক । তার উপর লকডাউন । এর জেরেই আপাতত বন্ধ মুদ্রণের কাজ । তাই নতুন বছরের পঞ্জিকা হাতে পেতে এখনও কয়েকদিন সময় লাগবে । প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের শেষে এবং চৈত্র মাসের শুরুতেই পাওয়া যায় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাজারে দেখা নেই এই পঞ্জিকার । একই অবস্থা গুপ্তপ্রেস থেকে বেণীমাধব শীল প্রতিটি পঞ্জিকারই ।
বাংলা নতুন বছর ১৪২৭ বঙ্গাব্দ আসতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। নতুন বছরের পঞ্জিকা মেনেই শুরু হয় নববর্ষের হালখাতা। কিন্তু এবছর কোরোনা ও লকডাউনের জেরে মাঝপথে থেমে গেছে পঞ্জিকার মুদ্রণ। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব শীল, পি এম বাগচি সহ অন্য পঞ্জিকারও মুদ্রণে বিঘ্ন ঘটেছে ।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা প্রথম প্রকাশিত হয় ১২৯৭ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ইংরেজির ১৮৯০ সালে। তারপর থেকে এখনও মনোজ কুমার লাহিড়ি কর্তৃক সম্পাদিত অ্যাস্ট্রো রিসার্চ বিওরো থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হয় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা। কিন্তু এবছর বিঘ্নিত পঞ্জিকা মুদ্রণের কাজ। সমগ্র পঞ্জিকাটির সম্পাদনা করেন সুপর্ণ লাহিড়ি। তাঁর আশ্বাস, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তিনি বলেন, "লকডাউনের জেরে পঞ্জিকা কিছুটা দেরিতে হলেও পাবেন । যে কদিন পাবেন না তারজন্য বিনামূল্যে PDF ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হবে অ্যাস্ট্রো রিসার্চ বিওরো থেকে । 9674197871 নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে চাইলেই সমগ্র বৈশাখ মাসের তিথি ও অন্য বিস্তারিত সহ পঞ্জিকার PDF ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হবে।"
পঞ্জিকার বাজার ইদানিং কিছুটা মন্দা যাচ্ছে। কারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহু মানুষ পঞ্জিকা দেখে নিচ্ছেন। তাও প্রায় পঞ্চাশ হাজার কপি মুদ্রিত হবে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তর। পৃথিবীর নানা জায়গায় যাবে এই পঞ্জিকা।
গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব শীল, পি এম বাগচি সহ অন্য পঞ্জিকারও একই অবস্থা । অর্ধ প্রকাশিত অবস্থায় প্রকাশকের ঘরে পড়ে রয়েছে পঞ্জিকাগুলি। কোরোনা জেরে মার্চের শুরু থেকে প্রকাশনা সংস্থার কর্মীরা অনেকেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। তাই আসন্ন বাংলা বছরের পঞ্জিকা হাতে পেতে কিছুটা বিলম্ব হবে ।
আপাতত নতুন বছরের পঞ্জিকা হাতে পেতে অপেক্ষা করতে হবে বেশ কয়েকদিন ।