জলপাইগুড়ি, 29 এপ্রিল: পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপক মঙ্গলাকান্তি রায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে গ্রাম জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর তার জেরেই কলকাতার বিমান হাতছাড়া হল পদ্মশ্রী প্রাপকের ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কর্মসূচির জেরে শেষ পর্যন্ত ট্রেনে করে তাঁকে কলকাতায় যেতে হবে বলে জানান মঙ্গলাকান্তির ছেলে ৷
শনিবার ময়নাগুড়ির জটিলেশ্বর মন্দির থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়িতে এসে মঙ্গলাকান্তি রায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক ৷ সেই মতো, এদিন জটিলেশ্বর মন্দিরে এসেছিলেন মঙ্গলাকান্তি । সঙ্গে ছিলেন তাঁর বড় ছেলে উমাকান্ত ৷ কিন্তু মন্দিরে এসেই কাল হল পদ্মশ্রী প্রাপকের ৷ অভিষেকের অপেক্ষায় অত্যন্ত দেরী হয়ে যাওয়ায় বিমান ধরতে পারলেন না তিনি ৷ শেষ পর্যন্ত কীভাবে যাবেন তাও বুঝতে পারছেন না মঙ্গলাকান্তের পরিবারের সদস্যরা ৷
জানা গিয়েছে, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের 100তম এপিসোড উপলক্ষ্যে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মঙ্গলাকান্ত রায়ের ৷ সেই মতো এদিনই কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। বিমানের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে কি তিনি পারবেন ? তা নিয়ে অবশ্য বেলা পর্যন্তও অনিশ্চিত ছিল মঙ্গলাকান্তের পরিবার ৷ মঙ্গলাকান্তের পরিবারের দাবি, অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতেই দেরি হওয়ার জেরে বিমান ধরতে পারেননি তিনি। তবে তাঁর ছেলে উমাকান্ত রায়ের দাবি, তিনি পরে ট্রেনে রওনা হবেন। অন্যদিকে মঙ্গলাকান্তের পরিবার জানিয়েছে, তাঁর কী সমস্যা বা কী চাইছেন তা জানতেই অভিষেক দেখা করতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে মঙ্গলাকান্তের ফোন নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য নিয়েছে বলেও খবর।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিলের সিদ্ধান্ত যথাসময়ে, বললেন রাজ্যপাল
অভিষেক আসার আগে মঙ্গলাকান্তি বলেন, "আমার বাড়ির রাস্তা খারাপ। একটা সরকারি ঘরও পাইনি। এ সবই বলব তাঁকে।" পরে মঙ্গলাকান্তির বড় ছেলে উমাকান্ত রায় বলেন, "দুপুর 2টো 40 মিনিটে বিমান ছিল ৷ কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে ৷ এখন আর বিমান পাওয়া যাবে না ৷" তবে যাওয়ার কী হবে ? উমারকান্ত বলেন, "এখন ট্রেনে যেতে হবে ৷ কোন ট্রেন জানি না ৷ সেসব দেখে নিজেদেরই টিকিট কেটে যেতে হবে ৷"