নন্দীগ্রাম ও কলকাতা, 18 জানুয়ারি : শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর এই প্রথম নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী । সভা করলেন তেখালির মাঠে । একদিকে যখন মমতার গড়ে রোড শো করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শুভেন্দু, তখন নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর তাঁর এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা ।
নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ের ঘোষণা স্বপরাজয়ের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী । বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর কেন্দ্রে দাঁড়াতেন । সেখানে জেতার ব্যাপারে উনি অনিশ্চিত । সেই কারণেই ভবানীপুর ছাড়া অথবা ভবানীপুর সহ নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর কথা বলছেন । দু'টি কেন্দ্রে তাঁরাই দাঁড়ান, যাঁদের জেতার ব্যাপারে নিশ্চয়তা থাকে না ।"
আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামে প্রার্থী মমতা, হারানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
একই কথা বলছেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানও । তৃণমূল নেত্রী তাঁর নির্বাচন ক্ষেত্র নিরাপদ বলে মনে করছেন না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেই কারণেই নতুন আসন খোঁজার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন তিনি ৷ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত এবার আর ভবানীপুর থেকে তাঁর জেতার সম্ভাবনা নেই ৷ কারণ তাঁর উন্নয়নের জোয়ারে সব ভেসে গেছে ৷ ফলে তিনি দাঁড়ানোর জায়গা পাচ্ছেন না ৷ উনি এখন নন্দীগ্রামের কথা বলছেন ৷ আসলে উনি শুভেন্দু-আতঙ্কে ভুগছেন ৷"
তৃণমূল নেত্রীর একদা সহকর্মী বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, "হয়ত তিনি ভেবেছেন এক জায়গা থেকে দাঁড়ালে তিনি হেরে যাবেন । তাই তিনি দু'জায়গা থেকে দাঁড়ানোর কথা বলছেন ।"
তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে হুংকার দিয়েছেন শুভেন্দুও । রাসবিহারীর সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেন তিনি । বলেন, "মাননীয়া নন্দীগ্রামে দাঁড়ান হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব । "