কলকাতা, 6 জুন : আর কিছুক্ষণের মধ্যেই 7 সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ তার কিছুক্ষণ পরেই বাম পরিষদীয় দল দেখা করবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ৷ পৃথকভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ৷ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার জন্য মোট 45 মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলকে ৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের নেতৃত্বে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আজ বেলা 1 টা নাগাদ তাজ বেঙ্গল হোটেলে মুখোমুখি হবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ৷
সূত্রের খবর, আমফানে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে । অতীতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছিল বাম পরিষদীয় দল । কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল চিঠিতে । প্রধানমন্ত্রী 1 হাজার কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গের জন্য ঘোষণা করলেও এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে না ৷ অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলের নেতৃত্বের । বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, " সুন্দরবনসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার চিত্র তুলে ধরা হবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে । তথ্যসমেত তালিকা জমা দেওয়া হবে তাদের কাছে । অবিলম্বে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করে, পশ্চিমবঙ্গকে আরও বেশি আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানাবেন তারা । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও রাজ্যের প্রকল্প গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার বাড়িগুলি আমফান ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । অধিকাংশ বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে । টিন ,টালি ও অ্যাসবেজটসের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে । "
বামেদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হবে, আবাস যোজনার বাড়িগুলির কংক্রিট ছাদের জন্য । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান পৃথকভাবে দেখা করতে চান কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে । আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অবস্থায় রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে যেভাবে সাহায্য করা উচিত ছিল, সেই সাহায্য তাঁরা এখনও পাননি । এই বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরা হবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে । প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, " রাজ্য সরকারের বঞ্চনার কথা জানানো হবে প্রতিনিধিদের ৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত অনুদানের আবেদন করা হবে ওই 7 সদস্যের প্রতিনিধি দলের কাছে । এই রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত 1000 কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয় । বিশেষ করে দুই 24 পরগনা, মেদিনীপুর ও নদিয়ার সিংহভাগে যেভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আর্থিক সাহায্যের কথা জানাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে । পৃথকভাবে কৃষকদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথাও জানানো হবে । আমফানের তাণ্ডবে রাজ্যের চাষে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য, উন্নত ধরনের বীজ ও সারের ব্যবস্থা যাতে কেন্দ্রীয় সরকার করে তারও আবেদন জানানো হবে । একদিকে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, অন্যদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য । কীভাবে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়, সেই বিষয়টিও আলোচিত হবে ওই 7 সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ৷ "