কলকাতা , 2 মে : রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে রাজ্য সরকার । আজ এই অভিযোগ করলেন বিরোধীরা । কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো চাল চলে যাচ্ছে শাসকদলের কাউন্সিলরদের কাছে । কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে শাসকদলের নেতারাও চাল চুরির সঙ্গে যুক্ত । আজ এই অভিযোগ করলেন কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী এবং CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ৷ তাঁদের অভিযোগ , কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো চাল বস্তা থেকে বার করে নিজের মতো করে নতুন বস্তায় ভরে বাজারে বিক্রি করছে শাসকদলের নেতারা ।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেশনে খাদ্যদ্রব্য পর্যাপ্ত না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে প্রায় দিনই । কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সমগ্র দেশ । ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এরাজ্যের অর্থনীতি । বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছেন । দরিদ্র মানুষের দু'বেলা খাবার জুটছে না । কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে দরিদ্র , গরিব মানুষগুলিকে রেশন দোকান থেকে খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হবে । প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবে এরাজ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷ রেশন দোকানে খাবারের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন । তার উপরে এরাজ্যের শাসকদলের চাল চুরির ঘটনায় ক্রমশ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে ৷ এমনটাই জানাচ্ছেন তন্ময় ভট্টাচার্য ।
কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী বলেন , "রাজ্য সরকারের গণবণ্টন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে । নজরদারি করার কেউ নেই । তাই শাসকদলের প্রতিনিধিরাই লুটেপুটে সর্বস্বান্ত করছে গণবণ্টন ব্যবস্থাকে । নিয়মিত অভিযোগ আসছে, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ লোকেরা চাল চুরি করে গুদামে মজুদ করছে । মুখ্যমন্ত্রী সব জেনেও কিছু করতে পারবেন না । কারণ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট তৈরি হবে । চোর ডাকাতদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চলেন । রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সব জেনেও নীরব । "
CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন," তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হলেই তিনি রেশন পাওয়ার অধিকারী । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের লোকেদের রেশন দেওয়া হচ্ছে না । রেশন দোকান পাহারা দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা । কেন্দ্রীয় সরকার চাল পাঠাচ্ছে রাজ্যের মানুষের জন্য । সেই চাল রেশন ডিলারের কাছে পৌঁছানোর আগেই , মাঝ রাস্তা থেকে গায়েব করে দিচ্ছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কর্মীরা । রেশনের চাল চুরি করে সেই চাল মানুষের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে । ভোট রাজনীতির জন্য তৃণমূল এই উপায় গ্রহণ করেছে ।"