কলকাতা, 23 ডিসেম্বর : চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগের সমাধানের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ অভিযোগ পাওয়ার 15 দিনের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে তার জবাব দিতে হবে । পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের যদি টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট থাকে প্রত্যেককেই 26 ডিসেম্বর ইন্টারভিউতে বসাক সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court orders to WBBPE) ।
2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার 6টি প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে 19 ডিসেম্বর 738 জনকে নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Teacher recruitment ) । কিন্তু ওই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে 2 দিন আগে পাঁচটি মামলা দায়ের হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের । মামলাকারীদের বক্তব্য, 2014 সালের টেট পরীক্ষায় তাঁরা কেউ 2, কেউ তিন নম্বরের জন্য অকৃতকার্য হয়েছেন । হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের যদি এই 6 নম্বর দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তাঁরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাবেন । স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাওয়ার কথা । কিন্তু তাঁদের বাদ দিয়েই 738 জনের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
গতকাল মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্তা বলেন, কোন কোন চাকরিপ্রার্থী এই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছেন, তাঁরা পর্ষদকে জানালে তাঁদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ব্যবস্থা করবে । কিন্তু বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট জানান, এইভাবে একটি একটি করে সব চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগের নিষ্পত্তি করা আদালতের পক্ষ যেমন অসম্ভব যেমন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষেও সম্ভব নয়। তাই সামগ্রিকভাবে এদের জন্য কী চিন্তাভাবনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, আদালত গতকাল জানতে চেয়েছিল।
আজ মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী জানান, যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তাঁদের যদি যথাযথ ওএমআর শিট থাকে তাঁদের সরাসরি 26 তারিখে ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন : 42 হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের নথি হাইকোর্টে জমা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
স্বাভাবিকভাবেই মামলাকারীদের আইনজীবীদের তরফের প্রশ্ন তোলা হয়, কলকাতা হাইকোর্টে যে পাঁচটি মামলা হয়েছে তার বাইরেও আরও অনেক চাকরিপ্রার্থী আছেন যাঁদের একই সমস্যা ৷ তাহলে তাঁরা কী করবেন ? সেই বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সবার অভিযোগ শোনার জন্য একটি পোর্টাল তৈরি করবে ।