কলকাতা, 16 জানুয়ারি : শহরে বাড়ছে অপরাধ । সাধারণ অপরাধের পাশাপাশি কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে সাইবার অপরাধ । এর সঙ্গে চাঙ্গা হচ্ছে অনলাইন এক্সটরশন বা হানি ট্রাপের ফাঁদ । এতে একবার পা ফেললেই খোয়াতে পারেন লক্ষ লক্ষ টাকা । কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি থানায় ইতিমধ্যে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে । এরপরে নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে শহরবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে (Online Extortion and Honey Trapping increases in Kolkata West Bengal) ।
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাইবার) বিদিশা কলিতা বলেন, "দিন কয়েক আগে সম্ভবত শহরে নতুন প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল বিদেশি সাইবার দস্যুরা । তাদের উদ্দেশ্য ছিল অনলাইন এক্সটরশন বা হানি ট্রাপে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে তার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা ।"
জানা গিয়েছে, অনেকের ফেসবুকে একাধিক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসছে । বিভিন্ন সুন্দরী মহিলার মুখ এবং স্বল্পবসনা মহিলার ছবি দিয়ে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো হচ্ছে । এই অনুরোধ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু খেলা ।
আরও পড়ুন : Kolkata Police Cyber Crime : এবার সাইবার দস্যুদের কবলে স্বয়ং কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল
প্রথমেই তার সঙ্গে চ্যাট করার জন্য ফেসবুকে রিকোয়েস্ট আসবে । দিন কয়েকের কথাবার্তাতেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করে এই সাইবার দস্যুরা । পরবর্তী ধাপে ভিডিয়ো কলিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় গোপন ছবি দেখানোর খেলা । যখন গোপন অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো আদান-প্রদান হয়, ঠিক সেই সময় দস্যুরা লুকিয়ে সেই ছবিগুলি ক্যাপচার করে নেয় ।
এরপর বিভিন্ন অছিলায় ওই ভিডিয়ো, ছবি দেখিয়ে চলে ব্ল্যাকমেলিং । টাকা না দিলে সেই ছবি সরাসরি পৌঁছে যাবে গৃহস্থ পরিবারে, এমন অভিযোগও আছে ভূরি ভূরি । বাধ্য হয়ে মানুষ টাকা দিচ্ছে আর সর্বস্বান্ত হচ্ছে ।
এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, এই প্রকারের কোনও ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলে, তা যেন অবিলম্বে ডিলিট করে দেওয়া হয় বা ব্লক করা হয় । কোনও ভাবে প্রতারণার ফাঁদে মানুষ যেন নিজেকে না জড়ায় । আর ভুলবশত এই ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেও পুলিশের কাছে যেতে যেন সংকোচ বোধ না করেন তাঁরা ।