ঠাকুরপুকুর (কলকাতা), 6 ফেব্রুয়ারি: সাত সকালে ঠাকুরপুকুর থ্রি এ বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা মৃত্যু এক মহিলা ইএসআই (ESI) কর্মীর।পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাইট ডিউটি করে বাড়ি ফিরছিলেন ঠাকুরপুকুর পানের আরার বাসিন্দা রুপা মণ্ডল ৷ বয়স 39 বছর। অভিযোগ সেই সময় পৈলানের দিক থেকে দু'টি বেসরকারি বাস রেষারেষি করে আসছিল এবং থ্রিএ বাস স্ট্যান্ড মোড়ে ওই স্কুটিকে ধাক্কা মারে ৷ জানা গিয়েছে, সেই সময় স্কুটি চালচ্ছিলেন রুপা মণ্ডলের বছর উনিশের ছেলে । মায়ের নাটই ডিউটি থাকলে ছেলেই তাঁকে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতেন। এদিনও সেভাবেই ছেলের সঙ্গে রূপা। সেই সময় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা । স্থানীয় সূত্রে খবর, ইএসআই হাসপাতালের ওই কর্মীকে পিষে দেয় একটি বাস (Road Accident in Kolkata)।
জানা গিয়েছে, বাসটি জোরে ধাক্কা মারার ফলে স্কুটি থেকে ছিটকে পড়েন মা-ছেলে। দু'জনের মাথায় হেলমেট থাকা সত্ত্বেও এড়ানো যায়নি আঘাত। নিয়ন্ত্রণহীন এসডি-16 বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মাথায় হেলমেট থাকায় আঘাত লাগলেও তা প্রাণঘাতী হয়নি রূপা দেবীর ছেলের ক্ষেত্রে। কিন্তু বাসের চাকা মহিলার মাথার উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় দু'জনকে নিকটবর্তী বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (VidyaSagar State General Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রূপাদেবীকে পরীক্ষার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ রূপাদেবীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘাতক বাস এবংচালককে আটক করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। তবে এই প্রকারের পথ দুর্ঘটনা ওই এলাকায় এই প্রথম নয় বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা নিত্যদিন প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তা পারাপার করেন। এই বিষয়ে প্রশাসনসকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ ৷ তাঁদের অভিযোগ, সকাল বেলা অফিস টাইমে কয়েকজন ট্রাফিক থাকলেও পরে তাঁদের আর পাত্তা পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা বাইকে, 2 যুবককে 4 কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
এই রোডটি এলাকা বহুল হওয়ার ফলে একাধিক সময় নানা ছোট-বড় পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাঁরা আরও অভিযোগ করে জানান, দু'টি বাসের রেষারেষির মাশুল দিতে হল এই মহিলাকে । পুলিশ সূত্রে খবর, দু'টি বাসের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হবে। তাতে এটাই স্পষ্ট হবে যে প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত গতিতে আসার ফলেই কি এই মৃত্যু নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ।