কলকাতা, 20 মে: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে আহত আরও একজনের মৃত্যু হল হাসপাতালে ৷ চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় অবশেষে মৃত্যু হল পিংকি মাইতির। শনিবার সকাল সাড়ে 11টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় বেআইনি বাজি কারখানায়। তার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আটজনের ৷ মৃতদের দেহ ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে ৷ এরপর ওড়িশার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক এবং এই বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের ৷ এরপর এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও এক আহত ব্যক্তির ৷ এরপর এদিন মৃত্যু হল পিংকি মাইতি নামে আরও একজনের ৷
ঘটনার পরই এগরা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল রবীন্দ্র মাইতি এবং পিংকি মাইতিকে ৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দু'জনই। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছিলেন রবীন্দ্র মাইতি ৷ এদিন সকালে মৃত্যু হয় পিংকির। মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রবল রাজনৈতিক বিতর্কের পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি জানিয়েছিলেন, এনআইএ তদন্ত করে বিচার হলেও রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আসল ব্যক্তি যেন ধরা পড়েন। যদিও রাজ্য ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷
আরও পড়ুন: তাড়িয়ে দিলে টিউশনি করে খাব, এসএসকেএম কাণ্ডে অনড় মদন
এরপর তড়িঘড়ি তদন্তে নামে সিআইডি ৷ তদন্তে নেমে কারখানার মালিক ভানু বাগের খোঁজে ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেয় সিআইডি ৷ ওড়িশার কটকে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরপর খোঁজ মেলে ভানু বাগের ৷ যদিও তার জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি সিআইডির পক্ষে ৷ চিকিৎসকদের মতে, ভানু বাগের প্রায় 80 শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল ৷ শুক্রবার তাঁরও মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে এগরা থানার আইসি মৌসুম চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পদ থেকে। সেই পদে এসেছেন স্বপন গোস্বামী।