বেহালা, 3 অক্টোবর: ফের শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৷ এবার কলকাতা পৌরনিগম এলাকার 125 নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁর নাম পরেশ সাউ ৷ বয়স 63 বছর ৷ তিনি জ্ঞান ঘোষ পলিটেকনিক কলেজে চাকরি করতেন ৷ দু'বছর আগে অবসর নিয়েছেন ৷ তাঁর বাড়ি ঠাকুরপুকুরের দু'নম্বর বাচারপাড়া এলাকায় ৷ এই নিয়ে গত দু'মাসে ওই এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা ৷ যদিও তা মানতে নারাজ 125 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকার ৷
তিনি বলেন,"আমি দিল্লিতে রয়েছি ৷ ওখানে কিছু বাড়ির লোকেরা বিরোধী দল করে ৷ তারাই আমার নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে ৷ আমি কলকাতায় ফিরে নিশ্চয়ই মৃতের বাড়িতে যাব ও খোঁজখবর নেব ৷ ওই এলাকাটা খুব বড় ৷ দু'বছর হল আমি এখানে কাউন্সিলর হয়েছি ৷ তাই সব জায়গায় যাওয়া হয়ে ওঠে না ৷"
জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে গত শুক্রবার নিউ আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন পরেশ সাউ ৷ রবিবার রাতে 63 বছরের প্রৌঢ়ের রক্ত পরীক্ষা করা হয় ৷ তাতে ডেঙ্গি ধরা পরে তাঁর ৷ এরপর সোমবার রাতে পরেশের মৃত্যু হয় ৷ তাঁর মৃত্যুর খবর সামনে আসার পরই একাধিক অভিযোগ তোলে এলাকাবাসীরা ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দু'মাস ধরে বেহাল অবস্থা 125 নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরপুকুর দু'নম্বর বাচারপাড়া এলাকার ৷ সেখানে আধ হাটু করে জল জমে রয়েছে ৷ যার ফলে এলাকায় আসে না বিদ্যুৎ দফতরের কোনও কর্মী ৷ কারণ বাচারপাড়ায় ঢুকতে গেলে আধ হাটু জল পেরতো হবে তাদের ৷ এই জল না নামায় এই এলাকা মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে ৷ নোংরা জলে ডেঙ্গি মশা জন্ম নিচ্ছে ৷ এর জেরেই একের পরে এক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছে ৷ বৃষ্টিতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হয় এলাকার ৷ তবে অগত্যা সকলকে এই জল পেরিয়েই স্কুল কলেজ অফিস যেতে হয় ।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এলাকায় এরকম খারাপ অবস্থা হওয়ার সত্ত্বেও একবারও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেননি 125 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকার ৷ এমনকী কলকাতা পৌরনিগমের তরফে এলাকায় মশার তেল ও ব্লিচিং পাউডার কোনওদিন ছড়ানো হয় না ৷ এই পুজোর সময় প্রায়ই বাড়িতে জ্বর হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের ৷
আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু 17 বছরের পড়ুয়ার, ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ
তাঁরা জানান, বেশ কিছুদিন আগে 125 নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে ৷ এরপরেও কাউন্সিলরকে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি ৷ বাড়ির সামনে রাস্তায় যত্রতত্র জঞ্জাল পড়ে থাকে ৷ সেগুলো ঠিক করে পরিষ্কার করা হয় না ৷ যা থেকে মাঝেমধ্যেই পোকামাকড় ও সাপের উপদ্রব ঘটে এলাকায় ৷ এরপরে ডেঙ্গিতে আরও একটি মৃত্যুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা ৷