কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : কোভ্যাকসিন নেবেন অথচ কো-উইন পোর্টালে খুঁজে পাওয়া যায়নি নাম। শুধু তাই নয়, পোর্টালজনিত সমস্যার কারণে তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও 70-80 শতাংশের কাছে পৌঁছায়নি এসএমএস। যার জেরে তাঁরাও নিতে পারেননি কোভ্যাকসিন। সব মিলিয়ে, 3 ফেব্রুয়ারি মাত্র 45 জনকে কোভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কোভ্যাকসিনের আরও তিন লাখ ডোজ় এবং এর ফলে আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যজুড়ে কোভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
প্রথম দিন রাজ্যের মাত্র তিনটি সেন্টারে কোভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই তিনটি সেন্টার-ই কলকাতায়। দিনের শেষে দেখা যায়, এসএসকেএম হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই তিনটি সেন্টার মিলিয়ে মাত্র 45 জনকে কোভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যদিও, স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই তিনটি সেন্টারে গতকাল 20 জন করে মোট 60 জনকে কোভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
আরও পড়ুন:কো-উইন পোর্টালে সমস্যা, ভ্যাকসিনেশনের হার নেমে এল 36 শতাংশে
কোরোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভীতি কাটিয়ে তোলার পাশাপাশি উৎসাহ বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যে প্রথম দিন কোভ্যাকসিন নিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক, চিকিৎসকরা। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর অনেক চিকিৎসকের পাশাপাশি অনেক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ডাক্তারও আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেন্টারে কোভ্যাকসিন নিতে পারেননি এই কো-উইন পোর্টালের সমস্যার কারণে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "এই পোর্টালের সমস্যার কারণেই ভ্যাকসিনেশনের হার এত কম হয়েছে । এই সমস্যা এখনও ঠিক হয়নি।" তবে, যে 45 জন কোভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কারও ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি ৷ "
আরও পড়ুন:আগামী বছরের শুরুতেই সাধারণ মানুষকে কোভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হতে পারে : নাইসেডের ডিরেক্টর
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, "জেলায় জেলায় কোভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সেন্টারে কোভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে।"