পাটুলি, 11 অক্টোবর : পাটুলির বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার মৃতদেহ ৷ মৃতের নাম শোভা চ্যাটার্জি ৷ ঘরের মধ্যেই ছিল বৃদ্ধার ছেলেও ৷ গতকাল এক আত্মীয়ের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ স্বাভাবিক মৃত্যু না কি পরিকল্পিত খুন তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷
পাটুলির দক্ষিণ রায়পুরের একটি ফ্ল্যাটে ছেলে দেবল চ্যাটার্জির সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধা ৷ দেবল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ৷ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের তরফে জানা গেছে, প্রায়ই মাকে মারধর করত দেবল ৷ শোভাদেবীর দেওর অর্থাৎ দেবলের কাকু পরিমল চ্যাটার্জির অভিযোগ, দেবলই তার মাকে খুন করেছে ৷ তিনি বলেন, "আমার ভাইপো দেবলই আমার বৌদিকে মেরে ফেলেছে ৷ দীর্ঘদিন ধরে তার মায়ের ওপর অত্যাচার করত ৷ মেরে মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছিল একবার ৷ এনিয়ে কয়েকবার পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷ এমনকী গত পঞ্চমীর দিন হোম ডেলিভারি বয় এসে দেখে খাটের পাশে পড়ে আছে বউদি ৷ বউদি মাঝে মাঝেই খুব কান্নাকাটি করত ৷ আমরা ওই ফ্ল্যাটে গেলে খারাপ আচরণ করত দেবল ৷ গতকাল কোনও উপায় না পেয়ে ও প্রথমে তার মামাকে ফোন করে বিষয়টি জানায় ৷ তারপরই আমরা সবাই মৃত্যুসংবাদ পেয়েছি ৷"
পরিমল আরও বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই মাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল দেবল ৷ আসল উদ্দেশ্য ছিল ফ্ল্যাটটা বিক্রি করে টাকা নেওয়া ৷ কারণ মা ও ছেলে দু'জনের নামে ছিল ফ্ল্যাট ৷" পুলিশকে ফোন করে দেবলের মামা গোবিন্দ চক্রবর্তী জানান শোভাদেবী মারা গেছেন ৷ পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠায় ৷ সেখানে চিকিসকরা বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
এখনও আসেনি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ৷ ছেলে দেবল চ্যাটার্জিকে আটক করেছে পুলিশ ৷ কীভাবে মৃত্যু হয়েছে ? চলছে সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ ৷ নিছকই মৃত্যু না কি খুন ! তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷