কলকাতা, 4 জুন: বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে আগেই । এ বার দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে রেলমন্ত্রককে চিঠি দিল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি । একইসঙ্গে মৃত ও জখমদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবিও করা হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ আইএনটিইউসি-র তরফে সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান কামার রেলমন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন ।
চিঠিতে কামরুজ্জামান কামার 2 জুন সন্ধ্যায় বালাসোরে তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক অভিযোগের প্রতিকারের আবেদন করেছেন । মৃতদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে দেহ হস্তান্তর করা, মৃত ব্যক্তির আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ হিসাবে 25 লাখ টাকা প্রদান করা, সমস্ত আহত ব্যক্তির অবিলম্বে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা ও সেই খরচ ভারতীয় রেলের দ্বারা বহন করা, যাঁরা সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হয়েছেন তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ হিসাবে 25 লাখ টাকা প্রদান করা - এমনই নানা দাবি জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে ৷
চিঠিতে বলা হয়েছে, ওড়িশা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে অবিলম্বে সেই কমিটির স্বাধীন তদন্ত শুরু করা উচিত । রেলওয়ের কর্মচারীদের তাঁদের অবহেলার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত । যাত্রীদের ও রেলকর্মীদের মূল্যবান জীবন রক্ষার জন্য অবিলম্বে রেলওয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাটো করা এবং রেলওয়ে ট্র্যাকগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পুরী, ভুবনেশ্বর ও কটক থেকে কলকাতায় বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, বিপর্যয়ের মাঝে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এ দিকে, এই দুর্ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে সিগন্যাল পদ্ধতির ত্রুটি ধরা পড়েছে ৷ সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত 275 জনের মৃত্যু হয়েছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় । 1 হাজারেরও বেশি মানুষ জখম হয়েছেন । এই পরিস্থিতিতে বিরোধী শিবিরের নেতারা রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন ৷ দেশজুড়ে জোর রাজনৈতিক তরজাও চলছে ।
এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "দুর্ঘটনার পর ইমেজ বিল্ডিং'এর প্রাণান্তকর চেষ্টা দেখে জানতে ইচ্ছে করছে, জ্ঞানেশ্বরীর ঘটনার পর কি পদত্যাগ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী ? নাকি তখন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যের পাহাড় বানাতে রেলমন্ত্রী পদটি আঁকড়ে বসে থাকা প্রয়োজন ছিল ? আচ্ছা, জ্ঞানেশ্বরী গণহত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছিল, তাদের সঙ্গে তৎকালীন রেলমন্ত্রীর কী সম্পর্ক ছিল ?"