ETV Bharat / state

MGNREGA Discomfort For PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরের আগে রাজনৈতিকভাবে চর্চায় 100 দিনের কাজের বকেয়া

100 দিনের কাজ বা মানরেগা প্রকল্পের টাকা গত 1 বছর ধরে কেন্দ্রের তরফে মেটানো হচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার ৷ 30 ডিসেম্বর রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরের (PM Narendra Modi West Bengal Visit) আগে, সেই বকেয়া মেটানোর দাবিতে সরব হয়েছে এনআরইজিএ সংগ্রাম মোর্চা নামে একটি সংগঠন (NREGA Morcha Raises MGNREGA Fund due Issue) ৷

MGNREGA Fund due Issue ETV BHARAT
প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে ফের চর্চায় একশো দিনের কাজের বকয়ে প্রসঙ্গ
author img

By

Published : Dec 28, 2022, 3:13 PM IST

কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে 100 দিনের কাজের বরাদ্দ বকেয়া নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন ৷ রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ৷ তারপরেও মিলছে না একশো দিনের কাজের টাকা ৷ স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকদের এই প্রাপ্য বরাদ্দ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার ৷ রাজ্যের এই দাবিকে কার্যত সমর্থন করল এনআরইজিএ সংগ্রাম মোর্চা ৷ এক বছরের বেশি সময় ধরে মানরেগা-র (MGNREGA) বকেয়া টাকা না দেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল এই সংগঠন (NREGA Morcha Raises MGNREGA Fund due Issue) ৷

প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার 30 ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi West Bengal Visit) ৷ তার আগে আরও একবার রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল কেন্দ্রের তরফে 100 দিনের অর্থ না-দেওয়ার বিষয়টি ৷ প্রসঙ্গত, গতবছর 25 ডিসেম্বরের পর থেকেই 100 দিনের প্রকল্প (100 days work) অর্থাৎ, মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের মজুরি খাতে কেন্দ্রের কাছে অর্থ পায়নি রাজ্য সরকার ৷ এবার এই নিয়েই সরব হয়েছে এনআরইজিএ সংগ্রাম মোর্চা ৷ এক প্রেস বিবৃতি জারি করে এই সংগঠনের তরফে থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে যে 7500 কোটি টাকা আটকে রেখেছে তা অবিলম্বে দিতে হবে ৷

এই সংগঠনের আরও দাবি, রাজ্যের 100 দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া হয়নি ৷ এমন ঘটনা আদতে তাঁদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা ৷ সংগঠনটির তরফে বলা হয়েছে, অবিলম্বে বকেয়া মজুরি দিতে হবে, সমগ্র সময়ের জন্য প্রতিদিন 0.05 শতাংশ হারে বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছে তারা ৷ একইসঙ্গে নতুন কাজ এবং জব কার্ড শুরু করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি ৷ উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের 100 দিনের কাজ বাবদ যে 7500 কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে ৷ তার মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির পরিমাণ 2774 কোটি টাকা ৷

সংগঠনের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকা বন্ধ করার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হলেও, তাদের এই বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা ৷ তাদের পাল্টা বক্তব্য সময়ে হিসেব না দেওয়া এবং কেন্দ্রীয় অর্থ নয়-ছয়ের ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্র রাজ্যের মানুষের জন্য তহবিল ছাড়তে প্রস্তুত ৷ তবে তার আগে, রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত তহবিল কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে ৷ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কীভাবে কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার করেছে, তা রাজ্যের মানুষ জানে ৷ এমনকি তারা কেন্দ্রের স্কিমগুলির নাম পরিবর্তন করে, নিজের নাম দিয়ে ব্যবহার করছে ৷ এইরকম পরিস্থিতিতে, কেন্দ্র দুর্নীতির অবসান ঘটাতে তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে ৷’’

আরও পড়ুন: গঙ্গা পরিষদের বৈঠকের আগে তিন জেলার ভাঙন নিয়ে মোদিকে চিঠি অধীরের

এনিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বিজেপির আনা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘100 দিনের প্রকল্পের কাজে কোনও অনিয়ম হচ্ছে না ৷ নির্দিষ্ট সরকারি আইন মেনে মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে কাজ করানো হচ্ছে ৷ এই প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও অনুশাসন রক্ষা করতে, একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ যা সকল গ্রাম পঞ্চায়েতে লাগু বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ এই প্রকল্পে রূপায়ণের ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ রাজ্যের কাছে আসলে, বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে জানানো হয় ৷ এমনকি তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে ৷’’

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত কাজের জিও ট্যাগিং বাধ্যতামূলকভাবে করা হয় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে সব শ্রমিকের প্রত্যেকদিন দু’বার হাজিরা গ্রহণ সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনামা নম্বর জিএসআর.495(ই) গত 30 জুন 2011 অনুযায়ী, প্রতি আর্থিক বছরে দু'বার সামাজিক নীরক্ষণ বাধ্যতামূলকভাবে সকল গ্রাম পঞ্চায়েতে করা হয়েছে ৷’’

আরও পড়ুন: 100 দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে, দিলেন ইতিবাচক ইঙ্গিত

পঞ্চায়েত মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতি নয়, এ রাজ্যের মানুষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রদীপ মজুমদারের ৷

কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে 100 দিনের কাজের বরাদ্দ বকেয়া নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন ৷ রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ৷ তারপরেও মিলছে না একশো দিনের কাজের টাকা ৷ স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকদের এই প্রাপ্য বরাদ্দ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার ৷ রাজ্যের এই দাবিকে কার্যত সমর্থন করল এনআরইজিএ সংগ্রাম মোর্চা ৷ এক বছরের বেশি সময় ধরে মানরেগা-র (MGNREGA) বকেয়া টাকা না দেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল এই সংগঠন (NREGA Morcha Raises MGNREGA Fund due Issue) ৷

প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার 30 ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi West Bengal Visit) ৷ তার আগে আরও একবার রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল কেন্দ্রের তরফে 100 দিনের অর্থ না-দেওয়ার বিষয়টি ৷ প্রসঙ্গত, গতবছর 25 ডিসেম্বরের পর থেকেই 100 দিনের প্রকল্প (100 days work) অর্থাৎ, মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের মজুরি খাতে কেন্দ্রের কাছে অর্থ পায়নি রাজ্য সরকার ৷ এবার এই নিয়েই সরব হয়েছে এনআরইজিএ সংগ্রাম মোর্চা ৷ এক প্রেস বিবৃতি জারি করে এই সংগঠনের তরফে থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে যে 7500 কোটি টাকা আটকে রেখেছে তা অবিলম্বে দিতে হবে ৷

এই সংগঠনের আরও দাবি, রাজ্যের 100 দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া হয়নি ৷ এমন ঘটনা আদতে তাঁদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা ৷ সংগঠনটির তরফে বলা হয়েছে, অবিলম্বে বকেয়া মজুরি দিতে হবে, সমগ্র সময়ের জন্য প্রতিদিন 0.05 শতাংশ হারে বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছে তারা ৷ একইসঙ্গে নতুন কাজ এবং জব কার্ড শুরু করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি ৷ উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের 100 দিনের কাজ বাবদ যে 7500 কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে ৷ তার মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির পরিমাণ 2774 কোটি টাকা ৷

সংগঠনের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকা বন্ধ করার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হলেও, তাদের এই বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা ৷ তাদের পাল্টা বক্তব্য সময়ে হিসেব না দেওয়া এবং কেন্দ্রীয় অর্থ নয়-ছয়ের ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্র রাজ্যের মানুষের জন্য তহবিল ছাড়তে প্রস্তুত ৷ তবে তার আগে, রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত তহবিল কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে ৷ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কীভাবে কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার করেছে, তা রাজ্যের মানুষ জানে ৷ এমনকি তারা কেন্দ্রের স্কিমগুলির নাম পরিবর্তন করে, নিজের নাম দিয়ে ব্যবহার করছে ৷ এইরকম পরিস্থিতিতে, কেন্দ্র দুর্নীতির অবসান ঘটাতে তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে ৷’’

আরও পড়ুন: গঙ্গা পরিষদের বৈঠকের আগে তিন জেলার ভাঙন নিয়ে মোদিকে চিঠি অধীরের

এনিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বিজেপির আনা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘100 দিনের প্রকল্পের কাজে কোনও অনিয়ম হচ্ছে না ৷ নির্দিষ্ট সরকারি আইন মেনে মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে কাজ করানো হচ্ছে ৷ এই প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও অনুশাসন রক্ষা করতে, একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ যা সকল গ্রাম পঞ্চায়েতে লাগু বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ এই প্রকল্পে রূপায়ণের ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ রাজ্যের কাছে আসলে, বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে জানানো হয় ৷ এমনকি তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে ৷’’

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত কাজের জিও ট্যাগিং বাধ্যতামূলকভাবে করা হয় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে সব শ্রমিকের প্রত্যেকদিন দু’বার হাজিরা গ্রহণ সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনামা নম্বর জিএসআর.495(ই) গত 30 জুন 2011 অনুযায়ী, প্রতি আর্থিক বছরে দু'বার সামাজিক নীরক্ষণ বাধ্যতামূলকভাবে সকল গ্রাম পঞ্চায়েতে করা হয়েছে ৷’’

আরও পড়ুন: 100 দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে, দিলেন ইতিবাচক ইঙ্গিত

পঞ্চায়েত মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতি নয়, এ রাজ্যের মানুষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রদীপ মজুমদারের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.