কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য সাফল্যের ছবি সামনে আসার পর বাংলা নিয়েও আশাবাদী বিজেপি ৷ এই ফল চাঙ্গা করেছে বঙ্গ বিজেপিকেও ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সকলেই এই জয়ে রাজ্যে তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা শুনতে পারছেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব বাংলা ও ওড়িশাতেও পড়বে ৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা মোদি সুনামির সাক্ষী থাকবে বলে জোর গলায় দাবি করেছেন শুভেন্দু ৷ রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছত্তিশগড়ের ফলাফলের জন্য সেখানকার বাঙালি সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷ তিনি দাবি করেছেন যে, বিজেপির প্রতি তাঁদের অপ্রতিরোধ্য সমর্থন সেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে ।
শুভেন্দুর কথায়, "আমি ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছি, বেঙ্গল ফ্যাক্টরের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানানো হয় ৷" বিজেপি নেতার দাবি, "এটি কেবল একটি ঢেউ । প্রকৃত সুনামি অপেক্ষা করছে । লোকসভা নির্বাচনে, আমরা মোদি সুনামির সাক্ষী থাকব ৷"
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশাতেও প্রভাব ফেলবে । শুভেন্দু এ দিন আরও বলেন, "আজকে শুধু তিন রাজ্যের ক্ষমতা দখল নয় তেলেঙ্গানাতেও আসন বেড়েছে আমাদের । আগেই বলেছিলাম এ বার এই বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির ফল 2018 নির্বাচনের থেকেও ভালো হবে । পশ্চিমবঙ্গে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার 26 সাল পর্যন্ত থাকবে না । লোকসভাতে যে বিপুল ম্যান্ডেট নরেন্দ্র মোদির পক্ষে আসছে, তাতে এই চোর মমতা তাঁর বংশ-সহ বিদায় হবে । আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন বাকি আছে ।"
এ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিরোধীদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই চার রাজ্যের ফল কার্যত সেমিফাইনাল । জাতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সেমিফাইনাল তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি বলেন, "কোনওভাবেই বিজেপি এই নির্বাচনকে সেমিফাইনাল বলেনি । মনে রাখতে হবে মোদিজির ভোট আলাদা হয় । যাঁরা সেমিফাইনাল বলছিলেন, ওঁরা তো সব ভোটকে সেমিফাইনাল বলেন । উত্তরপ্রদেশে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে এসেছিলেন এটা সেমিফাইনাল, আপনারা যোগীজিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে হঠিয়ে দিন তাহলেই নরেন্দ্র মোদির পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাবে । উত্তরপ্রদেশের মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এ বারও যাঁরা সেমিফাইনাল বলেছিলেন, সেই তোলা মূল এবং ছিন্নমূলক জনগণের কাছ থেকে একটা থাপ্পড় খেয়েছে এই ফলাফলে ।
আরও পড়ুন: