কলকাতা, 11 জানুয়ারি: রাজ্যে শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2023)। পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য বহু বেসরকারি বাস নেওয়া হয়। তবে অন্যান্য বার বড় বাসের পাশাপাশি মিনিবাসও নেওয়া হত। তবে এই বছর বড় বাস নেওয়া হলেও মিনিবাস (Minibus) নেওয়া হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই বছরের এই সময় গঙ্গাসাগরের মাধ্যমে মিনিবাস মালিকদের যে আয় হত তাতে ভাটা পড়ল।
গঙ্গাসাগর পরিবহণ সহায়ক কমিটির সেক্রেটারি অশোক গাইন বলেন, "সাগরে এই প্রথমবার মিনিবাস যাত্রী পরিবহন করছে না। তাই সাধারণত যত সংখ্যক বড় বাস দেওয়া হয় তার চেয়ে বেশি বাস দিতে হয়েছে। এইবছর কচুবেরিয়া থেকে সাগর পর্যন্ত 206টি বড় বাস দেওয়া হয়েছে। যদিও গতবছর বড় বাসের সংখ্যা ছিল 153টি। ঠিক একইভাবে গতবছর 10টি মিনিবাস দেওয়া হয়েছিল।" গঙ্গাসাগর মেলায় বড় বাসগুলো কচুবেরিয়া থেকে সাগর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ করে।
অন্যদিকে, মিনিবাসের ক্ষেত্রে রুট থাকে চেমাগুরি থেকে সাগর পর্যন্ত। মিনি বাস মালিক অর্ণব ঘোষ বলেন, "চিমাগুড়ি নদী সংলগ্ন যে ঘাট রয়েছে সেখানে ভেসেল ভিড়তে পারে না। যাকে আমরা ঘাটের ড্রেসিং করা বলে থাকি। তাই স্বাভাবিকভাবেই ওখানে একজন যাত্রীও মেলে না। এই সমস্যায় বেশ কিছু বছর ধরে আমরা ভুগছি। গতবছর বাসের একটিও টিকিট বিক্রি হয়নি। শুধু জ্বালানি আর খোরাকিতে টাকা খরচ হয়েছে।"
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিবছর বিভিন্ন রাজ্য থেকে, এমনকী বিদেশ থেকেও মানুষ এরাজ্যে আসেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয় এই মেলা উপলক্ষে। মেলাটি পরিচালনা করার দায়িত্বে থাকে দক্ষিণ 24 পরগনা প্রশাসন। তবে গত দু'বছর করোনার জন্য এই মেলায় মানুষের সমাগম অনেকটাই কম ছিল। এই বছর পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হতে পুণ্যার্থীদের ভিড় বেড়েছে। এখন থেকে সাগরদ্বীপে যাত্রী পরিবহনের জন্য ছোট গাড়ির পাশাপাশি মূলত নির্ভর করতে হয় বাস বা মিনিবাসের উপরেই।
আরও পড়ুন: সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার ! সাগর মেলা শিবিরে হাজির ভিনদেশের পুণ্যার্থী
তিনি আরও বলেন যে, "এই বিষয়টি আমরা জেলা আধিকারিককে জানিয়েছিলাম যাতে আমাদের বিকল্প রুট দেওয়া হয়। এই বিষয়টি আমরা বারে বারে জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। আর এই বছর তো একটিও মিনিবাসের রিকুইজিশন এল না। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। তাই আমরা যদি কোনও ঠিকঠাক রুট পায় তাহলে অনেকটাই আয় করতে পারতাম। কারণ সারা বছর এই উৎসবে ব্যবসা করার দিকে আমরা তাকিয়ে থাকি।"