ETV Bharat / state

D.El.Ed প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আপাতত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

D.El.Ed পড়া শেষ করার পরও সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না বহু প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি শিক্ষক শিক্ষিকা। ফলে বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাঁদের । বাধ্য হয়ে NIOS (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং)-এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে অগাস্টে মামলা দায়ের করেন প্রদীপ রায় , ভাস্কর বিশ্বাস সহ একাধিক চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকা।

Calcutta High Court
Calcutta High Court
author img

By

Published : Sep 25, 2020, 9:34 PM IST

কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর : D.El.Ed প্রশিক্ষণরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না ৷ এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন । তিন সপ্তাহ পরে এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল ও কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনেরালকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

D.El.Ed পড়া শেষ করার পরও সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না বহু প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি শিক্ষক শিক্ষিকা। ফলে বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাঁদের । বাধ্য হয়ে NIOS (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং)-এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে অগাস্টে মামলা দায়ের করেন প্রদীপ রায় , ভাস্কর বিশ্বাস সহ একাধিক চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকা।

মামলাকারীদের বক্তব্য, 2009 সালের শিক্ষার অধিকার আইন( RTI) অনুযায়ী NCTE একটা নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়েছিল 2019 সালের 31 মার্চের মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষিত হতে হবে । কিন্তু সারা দেশে পরিমিত কলেজ না থাকায় কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক NIOS (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং)-কে দায়িত্ব দেয় D.El.Ed প্রশিক্ষণের। সেইমতো 2017-18 সালের শিক্ষাবর্ষে নাম লেখান কয়েক লাখ শিক্ষক শিক্ষিকা।

গত 7 অগাস্ট NIOS হঠাৎ করে জানায়, 2019 সালের মে মাসের মধ্যে যারা D.El.Ed প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে 50 শতাংশের কম নম্বর রয়েছে তাঁদের পুনরায় উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর বাড়ানোর (আপ গ্রেড ) পরীক্ষা দিয়ে 50 শতাংশের বেশি নম্বর পেতে হবে ৷ তবেই তাঁরা এই সার্টিফিকেট পাবেন । ফলে বিপদে পড়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ।

সমস্যায় পড়েছেন প্রাক্তন সমর কর্মীরাও । সমর কর্মীরা সাধারণত মাধ্যমিক যোগ্যতায় সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় চাকরির পর তাঁরা প্রাক্তন কর্মী হিসেবে প্রাইমারি স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত হন । এই ব্যাপারে 2017 সালে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সেনাবাহিনীতে 15 বছরের বেশি পরিষেবা প্রদানকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিকে 50 % নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে । কিন্তু NIOS তা সত্ত্বেও তাঁদের ফলাফল অসমাপ্ত রেখেছে ৷ ফলে প্রত্যেকে বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।

মামলাটি আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে NIOS-এর তরফ এ আইনজীবী আরকে বাগ বলেন, "আমাদের যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রশিক্ষণের জন্য তখন প্রাক্তন সমর কর্মীদের ব্যাপারটি বলা ছিল না।" অন্যদিকে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, " 2017 সালের সংশোধনী অনুযায়ী 31 মার্চ, 2019 এর মধ্যে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে । NCTE 2010 সালে এই যোগ্যতার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল । এখন NIOS নতুন কোনও বিধিনিষেধ/ যোগ্যতামান আরোপ করতে পারে না।" সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আপাতত এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, " 2019 সালের 31 মার্চের মধ্যে সমস্ত কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের D.El.Ed প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার । এই পরিস্থিতিতে এই সমস্ত প্রশিক্ষণরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন । হাইকোর্টের নির্দেশ তাঁদের কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত করবে।"

কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর : D.El.Ed প্রশিক্ষণরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না ৷ এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন । তিন সপ্তাহ পরে এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল ও কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনেরালকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

D.El.Ed পড়া শেষ করার পরও সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না বহু প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি শিক্ষক শিক্ষিকা। ফলে বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাঁদের । বাধ্য হয়ে NIOS (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং)-এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে অগাস্টে মামলা দায়ের করেন প্রদীপ রায় , ভাস্কর বিশ্বাস সহ একাধিক চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকা।

মামলাকারীদের বক্তব্য, 2009 সালের শিক্ষার অধিকার আইন( RTI) অনুযায়ী NCTE একটা নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়েছিল 2019 সালের 31 মার্চের মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষিত হতে হবে । কিন্তু সারা দেশে পরিমিত কলেজ না থাকায় কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক NIOS (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং)-কে দায়িত্ব দেয় D.El.Ed প্রশিক্ষণের। সেইমতো 2017-18 সালের শিক্ষাবর্ষে নাম লেখান কয়েক লাখ শিক্ষক শিক্ষিকা।

গত 7 অগাস্ট NIOS হঠাৎ করে জানায়, 2019 সালের মে মাসের মধ্যে যারা D.El.Ed প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে 50 শতাংশের কম নম্বর রয়েছে তাঁদের পুনরায় উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর বাড়ানোর (আপ গ্রেড ) পরীক্ষা দিয়ে 50 শতাংশের বেশি নম্বর পেতে হবে ৷ তবেই তাঁরা এই সার্টিফিকেট পাবেন । ফলে বিপদে পড়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ।

সমস্যায় পড়েছেন প্রাক্তন সমর কর্মীরাও । সমর কর্মীরা সাধারণত মাধ্যমিক যোগ্যতায় সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় চাকরির পর তাঁরা প্রাক্তন কর্মী হিসেবে প্রাইমারি স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত হন । এই ব্যাপারে 2017 সালে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সেনাবাহিনীতে 15 বছরের বেশি পরিষেবা প্রদানকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিকে 50 % নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে । কিন্তু NIOS তা সত্ত্বেও তাঁদের ফলাফল অসমাপ্ত রেখেছে ৷ ফলে প্রত্যেকে বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।

মামলাটি আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে NIOS-এর তরফ এ আইনজীবী আরকে বাগ বলেন, "আমাদের যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রশিক্ষণের জন্য তখন প্রাক্তন সমর কর্মীদের ব্যাপারটি বলা ছিল না।" অন্যদিকে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, " 2017 সালের সংশোধনী অনুযায়ী 31 মার্চ, 2019 এর মধ্যে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে । NCTE 2010 সালে এই যোগ্যতার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল । এখন NIOS নতুন কোনও বিধিনিষেধ/ যোগ্যতামান আরোপ করতে পারে না।" সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আপাতত এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, " 2019 সালের 31 মার্চের মধ্যে সমস্ত কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের D.El.Ed প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার । এই পরিস্থিতিতে এই সমস্ত প্রশিক্ষণরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন । হাইকোর্টের নির্দেশ তাঁদের কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত করবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.