কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: এবার অনুমতি ছাড়া বিধানসভা চলাকালীন বিধানসভা চত্ত্বরে করা যাবে না কোনও কর্মসূচি। বিধানসভার দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতে এই নির্দেশ দিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধীদের গত 48 ঘণ্টা ধরে চলা বিভিন্ন আচরণে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যার কারণে এই কঠিন সিদ্ধান্ত তাঁকে নিতে হচ্ছে। বিরোধীদের আচরণে এতটাই ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ যে, বিধানসভায় বিধায়কদের উপস্থিতির সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, "বিগত তিনদিন ধরে বিধানসভায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জেরে বিধানসভায় আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারত। তার জেরে বিধানসভার মর্যাদা এবং গরিমা রক্ষা করার জন্য এবার থেকে বিধানসভায় কোনও বিক্ষোভ বা আলোচনা করতে হলে অধ্যক্ষকে জানাতে হবে। বিধানসভার বাইরে এবং ভিতরে এই রকম কর্মসূচী অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সাহায্যও চেয়েছেন তিনি।"
এদিন একই সঙ্গে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "যে কোনও বিক্ষোভ সভা, সমাবেশ কোথাও বিরোধিতা করছি না আমরা। কিন্তু সবটাই অনুমতি নিয়ে করতে হবে। কেউ কেউ বলতে পারেন, গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকারের অর্থ এই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে গালাগাল দেওয়া !" এই নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক আমার কাছে অভিযোগও করেছেন। অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিধানসভার ভিতরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এমন পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।"
এদিন এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও । তিনি বলেন, "144 ধারার মতো কারফিউ তৈরি করতে চাইছে শাসক তৃণমূল। এরা ভয় পেয়ে এসব করছে। আমি সাসপেন্ডেড, তাই বাইরেই করব। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। এত ভয় কেন বিজেপিকে ? প্রতিবাদ বাইরে-ভিতরে করতে পারব না। রাস্তায় পুলিশ আটকাবে। অফিসকে বলেছি কাগজ জোগার করে পরবর্তি পদক্ষেপ করতে। আমরা খুশী যে আমরা অ্যাগ্রেসিভ অপোজিশন । তা আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি। গঙ্গা জলকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।"
আরও পড়ুন