ETV Bharat / state

শিক্ষা ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় আপোস নয়, শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শিক্ষাবিদদের যৌথমঞ্চের - শিক্ষাবিদদের চিঠি শিক্ষামন্ত্রীকে

কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কীভাবে পঠন-পাঠন ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি শিক্ষাবিদদের ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 16, 2020, 5:25 PM IST

কলকাতা, 16 মে : শিক্ষা ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় কোনও আপোস করা চলবে না । পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থার সঙ্গে আপোস করলে পড়ুয়াদের ক্ষতি হবে । যার দায় পড়ুয়াদের উপর বর্তাবে না । এমনই মত রাজ্যের শিক্ষামহলের । তাই কীভাবে শিক্ষার সঙ্গে আপোস না করে পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা যায় সেবিষয়ে বেশকিছু পরামর্শ দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ান । কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকেও এই পরামর্শ ও দাবি সম্বলিত চিঠি পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে এই যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে ।


পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এবং গবেষকদের নিয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ান তৈরি হয়েছে । বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে মতামত প্রদান করে থাকে শিক্ষাবিদদের এই যৌথমঞ্চ । কোরোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত 16 মার্চ থেকে আগামী 10 জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ । স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পঠন-পাঠনের উপর পড়েছে । এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষা ও শিক্ষাবর্ষ পরিচালনা করা হবে তার উপায় খুঁজছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ই । প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নিজেদের পরিকাঠামো অনুযায়ী পরিকল্পনা করছে । কিন্তু, তার মধ্যেও যাতে শিক্ষার সঙ্গে কোনও রকম আপোস না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে বলে মত যৌথমঞ্চের ।

জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ানের তরফ থেকে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, " আমরা বর্তমান পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কোনও রকম আপোসের বিরুদ্ধে । কারণ, শিক্ষা কোনও পণ্য নয়, যার মূল্য চাইলেই হ্রাস করা যায়। আমরা মনে করি, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নিলে পড়ুয়াদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে । যার জন্য তাঁরা কোনোভাবেই দায়ি হবেন না। অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস বা পরীক্ষার বিষয়েও বলা হয়। লকডাউনে অনলাইনে পঠন-পাঠন পড়ুয়াদের কিছুটা স্বস্তি দিলেও, তা কোনওভাবেই ক্লাসরুম পঠন-পাঠনের সমতুল্য নয়। একটা বড় অংশের পড়ুয়া এর সুবিধা নিতে পারেননি। তাই আমরা মনে করি, 100 শতাংশ পড়ুয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পরেই এই ধরনের মাধ্যমে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা উচিত।"

পড়ুয়াদের স্বার্থ রক্ষার্থে একধারে সরকারের মধ্যস্থতা চাওয়া হয়েছে । অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকারে সরকার যেন হস্তক্ষেপ না করে সেই কথা বলা হয়েছে চিঠিতে । এ বিষয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ানের পক্ষ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থিব বসু বলেন, " উচ্চশিক্ষায় যে সব পড়ুয়ারা যাবে, M.Tech, M.Sc-র মতো কোর্সে ভরতি হবেন বা P.hD-র প্রবেশিকা পরীক্ষা দেবেন, অথবা চাকরির ক্ষেত্রে, যাঁরা ইতিমধ্যেই প্লেসমেন্ট পেয়ে গেছেন, এমপ্লয়াররা মার্কশিট দিতে দেরি হচ্ছে বলে চাকরি দিচ্ছেন না। সেইসব ক্ষেত্রে সরকার যেন মধ্যস্থতা করে, চেষ্টা করে ছাত্রদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। এছাড়া, একটা কোনও সমাধান সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর যেন চাপিয়ে না দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে বলেছি।"

কোরোনা আবহে পঠন-পাঠনের যে সময়টা নষ্ট হল তা শিক্ষার সঙ্গে আপোস না করে কী করে পূরণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে এই যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে । তাতে 10 জুনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে বা তার থেকেও দেরি হলে কীভাবে করা যেতে পারে, এভাবে 3টি ভাগ করে প্রতিটি সেমেস্টার অনুযায়ী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এ বিষয়ে পার্থিব বসু বলেন, " আমরা তিনটে সিনারিও বলেছি । যদি 10 জুন খোলে তাহলে কী রকমভাবে ক্লাস নেওয়া উচিত, যদি 4 মাস পিছোয়, 6 মাস পিছোয়, সেই সিনারিও নিয়েও বলেছি । সব ক্ষেত্রেই আমরা বলেছি চূড়ান্ত সেমেস্টারে পড়ুয়াদের আগে ছেড়ে দিতে । তাতে ইন্টারমিডিয়েট সেমেস্টারের দেরি হলে হোক। কিন্তু, আগে চূড়ান্ত সেমেস্টারকে ছেড়ে না দিয়ে অন্য সেমেস্টারকে ঢোকানো যাবে না। প্রয়োজনে অন্য সেমেস্টারগুলির পাঠ্যক্রম পরবর্তী সেমেস্টারগুলিতে অ্যাবসর্ব করে নিতে হবে ।" এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশির রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও পাঠানো হয়েছে যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে।

কলকাতা, 16 মে : শিক্ষা ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় কোনও আপোস করা চলবে না । পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থার সঙ্গে আপোস করলে পড়ুয়াদের ক্ষতি হবে । যার দায় পড়ুয়াদের উপর বর্তাবে না । এমনই মত রাজ্যের শিক্ষামহলের । তাই কীভাবে শিক্ষার সঙ্গে আপোস না করে পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা যায় সেবিষয়ে বেশকিছু পরামর্শ দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ান । কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকেও এই পরামর্শ ও দাবি সম্বলিত চিঠি পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে এই যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে ।


পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এবং গবেষকদের নিয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ান তৈরি হয়েছে । বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে মতামত প্রদান করে থাকে শিক্ষাবিদদের এই যৌথমঞ্চ । কোরোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত 16 মার্চ থেকে আগামী 10 জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ । স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পঠন-পাঠনের উপর পড়েছে । এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষা ও শিক্ষাবর্ষ পরিচালনা করা হবে তার উপায় খুঁজছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ই । প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নিজেদের পরিকাঠামো অনুযায়ী পরিকল্পনা করছে । কিন্তু, তার মধ্যেও যাতে শিক্ষার সঙ্গে কোনও রকম আপোস না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে বলে মত যৌথমঞ্চের ।

জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ানের তরফ থেকে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, " আমরা বর্তমান পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কোনও রকম আপোসের বিরুদ্ধে । কারণ, শিক্ষা কোনও পণ্য নয়, যার মূল্য চাইলেই হ্রাস করা যায়। আমরা মনে করি, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নিলে পড়ুয়াদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে । যার জন্য তাঁরা কোনোভাবেই দায়ি হবেন না। অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস বা পরীক্ষার বিষয়েও বলা হয়। লকডাউনে অনলাইনে পঠন-পাঠন পড়ুয়াদের কিছুটা স্বস্তি দিলেও, তা কোনওভাবেই ক্লাসরুম পঠন-পাঠনের সমতুল্য নয়। একটা বড় অংশের পড়ুয়া এর সুবিধা নিতে পারেননি। তাই আমরা মনে করি, 100 শতাংশ পড়ুয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পরেই এই ধরনের মাধ্যমে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা উচিত।"

পড়ুয়াদের স্বার্থ রক্ষার্থে একধারে সরকারের মধ্যস্থতা চাওয়া হয়েছে । অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকারে সরকার যেন হস্তক্ষেপ না করে সেই কথা বলা হয়েছে চিঠিতে । এ বিষয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকাডেমিসিয়ানের পক্ষ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থিব বসু বলেন, " উচ্চশিক্ষায় যে সব পড়ুয়ারা যাবে, M.Tech, M.Sc-র মতো কোর্সে ভরতি হবেন বা P.hD-র প্রবেশিকা পরীক্ষা দেবেন, অথবা চাকরির ক্ষেত্রে, যাঁরা ইতিমধ্যেই প্লেসমেন্ট পেয়ে গেছেন, এমপ্লয়াররা মার্কশিট দিতে দেরি হচ্ছে বলে চাকরি দিচ্ছেন না। সেইসব ক্ষেত্রে সরকার যেন মধ্যস্থতা করে, চেষ্টা করে ছাত্রদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। এছাড়া, একটা কোনও সমাধান সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর যেন চাপিয়ে না দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে বলেছি।"

কোরোনা আবহে পঠন-পাঠনের যে সময়টা নষ্ট হল তা শিক্ষার সঙ্গে আপোস না করে কী করে পূরণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে এই যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে । তাতে 10 জুনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে বা তার থেকেও দেরি হলে কীভাবে করা যেতে পারে, এভাবে 3টি ভাগ করে প্রতিটি সেমেস্টার অনুযায়ী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এ বিষয়ে পার্থিব বসু বলেন, " আমরা তিনটে সিনারিও বলেছি । যদি 10 জুন খোলে তাহলে কী রকমভাবে ক্লাস নেওয়া উচিত, যদি 4 মাস পিছোয়, 6 মাস পিছোয়, সেই সিনারিও নিয়েও বলেছি । সব ক্ষেত্রেই আমরা বলেছি চূড়ান্ত সেমেস্টারে পড়ুয়াদের আগে ছেড়ে দিতে । তাতে ইন্টারমিডিয়েট সেমেস্টারের দেরি হলে হোক। কিন্তু, আগে চূড়ান্ত সেমেস্টারকে ছেড়ে না দিয়ে অন্য সেমেস্টারকে ঢোকানো যাবে না। প্রয়োজনে অন্য সেমেস্টারগুলির পাঠ্যক্রম পরবর্তী সেমেস্টারগুলিতে অ্যাবসর্ব করে নিতে হবে ।" এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশির রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও পাঠানো হয়েছে যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.