কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি : কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আপাতত রক্ষাকবচ পেলেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ সিবিআই অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না এখনই, বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ৷ আদালতের এদিনের রায়ের ফলে আপাতত স্বস্তি পেলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা (CBI can not arrest Anubrata Mandal says Calcutta High Court) ৷
হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশের ফলে আপাতত সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে না অনুব্রত মণ্ডলকে৷ বীরভূমের এক বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এদিনই তাঁকে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ তবে বিচারপতি এদিন বলেছেন, সিবিআই যদি মনে করে তদন্তের কারণে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন তবে তাঁকে নতুন করে নোটিশ পাঠাতে পারে সিবিআই ৷ তাঁকে দুর্গাপুরের সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে । কিন্তু আদালতের পরিষ্কার নির্দেশ ভবিষ্যতেও আদালতের অনুমতি না নিয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ সিবিআই করতে পারবে না । নির্দেশে বিচারপতি আরও জানান আপাতত সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাক, তাতে কোন সমস্যা নেই ।
ভারতীয় দণ্ডবিধির 160 নং ধারায় এদিন জেরার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই ৷ অনুব্রতর আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, এই মুহূর্তে তিনি নানা রকম শারীরিক অসুস্থতা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি ৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়েও রয়েছে । এই মুহূর্তে তিনি চিকিৎসাধীন ।
মামলার শুনানিতে অনুব্রত মন্ডলের তরফে আইনজীবী সন্দীপন গাঙ্গুলী বলেন ,"অনুব্রত মণ্ডলকে আইপিসি এর 160 ধারায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে, এই নোটিশ পাঠিয়েছেন লখনৌর কোন এক অফিসার । নিয়ম অনুযায়ী 160 নং ধারায় নোটিশ পাঠাতে গেলে নির্দিষ্ট এলাকার যে নিয়ম আছে সেটি পালন করতে হয় । অনুব্রত মণ্ডললের ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি । পাশাপাশি তিনি এই ঘটনায় একজন সাক্ষী । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক তিনি সহযোগিতা করতে তৈরী কিন্তু যেন গ্রেফতার না করা হয় ।" অন্যদিকে সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী এমবি রাজু বলেন," 160 ধারায় নোটিশ এর ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের বিশেষ ম্যানুয়াল আছে । সব সময় যে এলাকা গত ক্ষেত্র মেনেই নোটিশ পাঠাতে হবে তা সঠিক নয় ।"
আরও পড়ুন : সিবিআইয়ে গ্রেফতারির আশঙ্কা এড়াতে হাইকোর্টের দুয়ারে অনুব্রত
বিচারপতি দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নির্দেশে বলেন, অনুব্রত মণ্ডল দোষী বলে প্রমাণিত হয়নি এখনও, তাঁর আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে ৷ উল্লেখ্য, সিবিআই এর গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টে বুধবারই আবেদন জানিয়েছিলেন কেষ্ট ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 4 সপ্তাহ পর ৷ তার মধ্যে সিবিআইকে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাতে হবে ৷ সিবিআই বক্তব্য পেশ করার পর অনুব্রত মণ্ডলকেও এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে তাঁর বক্তব্য জানানোর জন্য ৷