কলকাতা, 15 জুলাই : নিউ আলিপুরের ই ব্লকের বাসিন্দা 10 বছরের নাবালিকার মৃত্যুকে ঘিরে প্রথম থেকেই নানা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। পরিবারের লোকেদেরই অসংগতি পূর্ণ আচরণ দেখে সন্দেহ হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের । পরিবারের তরফে দেহ হস্তান্তরের জন্য চাপ দেওয়া হলেও তা না দিয়ে তিনি হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে খবর দেন ৷ তদন্তে নামে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে ওই নাবালিকার মায়ের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ ৷ বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় নাবালিকার মা ও তার প্রেমিককে আটক করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ । নাবালিকার বাড়ির নিচতলার একটি ঘর অফিসের জন্য ভাড়া দেওয়া আছে। সেই অফিসের একজন কর্মী তদন্তকারীদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূত্র দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা যায়,ঘটনার দিনেও নাবালিকার মায়ের প্রেমিক নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছিল । নাবালিকার মাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত শুক্রবার নিউ আলিপুরের ই-ব্লকের একটি বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক নাবালিকাকে ৷ এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷ তার গলায় দাগও পাওয়া গেছে ৷ পরিবারের বক্তব্য, ভূতের ভয়েই ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে ৷তবে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভূতের তত্ত্ব মানতে নারাজ । এরপর ওই নাবালিকার ময়নাতদন্ত করা হয় ৷ প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, নাবালিকার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলায় পাওয়া গেছে আঙ্গুলের দাগ। যা থেকে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত, যৌন নির্যাতনের পরে খুন করা হয়েছে নিউ আলিপুরের নাবালিকাকে।
মৃত্যুর কারণ জানতে পারা গেলেও খোঁজ চলছে হত্যাকারীর।