কলকাতা, 18অক্টোবর : পঞ্চায়েত দফতরের বিশাল কর্মকাণ্ডে নজরদারি চালানো মুখের কথা নয়। এর প্রতি ধাপে রয়েছে দুর্নীতির সম্ভাবনা। কিন্তু রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর একটি সুপরিকল্পিত পদ্ধতির মাধ্যমে গোটা ব্যবস্থাটা পর্যালোচনা করতে চাইছে। আর তাই চালু করা হচ্ছে বিশেষ পোর্টাল । পঞ্চায়েত দফতর মনে করছে, এর মাধ্যমে কাজে স্বচ্ছতা আনা যাবে ।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "এই মুহূর্তে রাজ্যের ৩ হাজার ২২৯টি পঞ্চায়েতে নিয়ম করে যে উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম হয় তা খাতায়-কলমে দেখার দায়িত্ব রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের । যদিও এই উন্নয়নমূলক কাজের অর্থের একটা বড় অংশ আসে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ভাড়ার থেকে। তাই সঠিকভাবে এর পর্যালোচনায় জরুরি। আমরা চাই, দফরের হাত দিয়ে যতটুকু খরচ হয় তার প্রতি পয়সার হিসাব রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে দিতে। সে কারণেই দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকদের এই কাজে সক্রিয় দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন : Leave Cancelled: পুজো কাটতেই বাড়ছে করোনা, ছুটি বাতিল কলকাতার স্বাস্থ্যকর্মীদের
মন্ত্রীর কথায়, "কেন্দ্রীয় সরকার সুযোগ খুঁজছে যেকোন উপায়ে রাজ্য সরকারের অনুদান বন্ধ করার। এমনিতেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দিনে দিনে কমছে। আমরা চাই না কেন্দ্রেকে নতুন করে কোনও সুযোগ করে দিতে ৷" এ প্রসঙ্গে দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুরও ভাবনাচিন্তা ধাপে ধাপে রূপায়িত হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে যে ২০২২-২৩ সালের পঞ্চায়েত ভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরির কাজ এখনই শুরু করতে হবে। সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা জারি করে ‘পাড়া বৈঠকে’র বিষয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে । একটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের আনাচে কানাচে কতজন বসবাস করেন, তাঁদের মতামত কী, সেটাও এক্ষেত্রে প্রয়োজন বলে মনে করছেন দফতরের কর্তারা । সেই কারণে ‘পাড়া বৈঠক’ গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতকে ‘প্ল্যানিং ফেসিলিটেশন টিম’ গঠন করতে হবে। এই দলের সদস্যরা পাঁচ-সাতজন করে ভাগ হয়ে আয়োজন করবেন পাড়া বৈঠকের। এই পাড়া বৈঠকে আলোচিত সমস্ত তথ্য নবনির্মিত পোর্টালে আপলোড করা হবে।