কলকাতা, 17 অগস্ট: তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে ৷ এবার সামনে এল ছাত্রমৃত্য়ুর ওই বিভীষিকাময় রাতের ছবি ৷ বৃহস্পতিবার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মেন হস্টেলে সেদিন রাতে ওই পড়ুয়ার সঙ্গে ছিল প্রায় 10 থেকে 12 জন আবাসিক ৷ ওই আবাসিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল ওই পড়ুয়ার । জোর করে তার জামা খোলানো হয়েছিল । একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে আপাতত এটাই অনুমান ।
পাশাপাশি তদন্তে নেমে ধৃত সৌরভ চৌধুরী এবং সপ্তক কামিলাকে জেরা করা হয়েছে । এবার এদের দু'জনের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে চাইছেন তদন্তকারীরা । লালবাজার সূত্রে খবর, যখন হস্টেলের ভিতর ওই পড়ুয়াকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল সেই সময় ধৃতদের মধ্যে কেউ না কেউ সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন ।
এছাড়াও তদন্ত নেমে জানা প্রয়োজন যে ধৃতরা কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত । কোনও বহিরাগত প্রভাবশালীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল কি না, এই সকল বিষয় জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা ৷ ফলে ধৃত সপ্তক এবং সৌরভ চৌধুরীর মোবাইল এবং ল্যাপটপ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লালবাজারে পাঠাতে চাইছেন তাঁরা ৷
ইতিমধ্যেই যাদবপুরে ওই পড়ুয়ার খুনের অভিযোগের ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে মোট 9 জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ । গত 9 অগস্ট রাত বারোটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নিচে রক্তাক্ত এবং বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাংলা অনার্সের প্রথম বছরের এক ছাত্রের দেহ । সেই সময়ে তড়িঘড়ি করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে থেকে একটি ট্যাক্সি এনে তাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে উঠিয়ে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । এদিন ওই ট্যাক্সিচালককে যাদবপুর থানায় ডেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় ।
আরও পড়ুন : পুলিশের কাছে ছাত্রদের বিরুদ্ধেই আঙুল তুললেন যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্ট