কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন আর এই বছরের শেষে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আর ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের পরীক্ষা। আর প্রথম স্তরের পরীক্ষায় বাতিল করা হয়েছে একাধিক ইভিএম। পাঠানো হচ্ছে নয়া ইভিএম।
গতকাল, সোমবার দিনভর শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে চলে ম্যারাথন বৈঠক। জেলাশাসক এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠক সারেন সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা ও নীতেশ ব্যয়াস। আগামী মাসে আবারও রাজ্যে আসছেন তিন সদস্যের আরও এক প্রতিনিধি দল। এদিন মূলত বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সবকিছু নিয়েই এদিন ছিল এই জরুরি বৈঠক।
জাতীয় নির্বাচনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ইভিএম বিশেষজ্ঞরা। দেশজুড়ে গত 1 অগস্ট থেকে ইভিএমের প্রথম স্তরের বা ফাস্ট লেভেল চেকিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। চলবে 31 অক্টোবর পর্যন্ত। কমিশন সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে ইভিএমের সংখ্যা হল 1 লক্ষ 30 হাজার। সবকটি ইভিএম ঠিকঠাক অবস্থায় রয়েছে কি না, সেটাই খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের জন্য আপাতত প্রয়োজন 30 হাজার আরও নতুন ইভিএম। সেগুলি হায়দরাবাদ থেকে আনার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। এদিন ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ দিতে নয়াদিল্লি থেকে এসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইভিএম বিশেষজ্ঞ বিসি পাত্র।
গতকালের বৈঠকে জানা গিয়েছে, ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের সময় রাজ্যের ইভিএমের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা ধরা পড়েছে। একটি ইভিএমে তিনটি অংশ থাকে। প্রথম অংশটি হল কন্ট্রোল ইউনিট। এই ইউনিটটি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে থাকে। এর পরের অংশটি হল ব্যালট ইউনিট। এই ইউনিটে ভোটাররা ভোট দেন। তৃতীয়টি হল ভিভি প্যাট। কিন্তু এফএলসি চেকিংয়ের সময় দেখা যাচ্ছে কন্ট্রোল ইউনিটের অনেক জায়গাতেই ব্যাটারি ঠিকমতো কাজ করছে না। তাই অনেক ক্ষেত্রে একাধিক কন্ট্রোল ইউনিট বাতিল করতে হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গকে নতুন করে আরও 20 হাজার আপ-টু-ডেট ভার্সনের ইভিএম পাঠানো হচ্ছে। এই মাসেই রাজ্যে এসে পৌঁছবে নতুন মেশিনগুলো। তারপরে সেগুলি চলে যাবে প্রতিটি জেলায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে যখন একেবারে শেষ ইভিএমটি গণনা করা হচ্ছিল তখন দেখা গিয়েছিল ইভিএমের ব্যাটারির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যালট ইউনিটে ফলাফল দেখা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি, ইভিএম পরীক্ষা শুরু কমিশনের