ETV Bharat / state

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু গুড্ডনের - কলকাতা

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে গুড্ডনের । পুলিশি তদন্ত জানা গেছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল গুড্ডনের । কিন্তু কোনও কারণে সেই  বিয়ে ভেঙে যায় । তারপরেই না কি দুজনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ।

New alipore case
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Jan 8, 2020, 4:49 AM IST

কলকাতা, 8 জানুয়ারি: বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে নিউ আলিপুরের যুবতির । ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে সেটাই । রিপোর্ট বলছে, শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না । কোন লিগেচার মার্কও নেই । অর্থাৎ গলায় কোনও ফাঁসের দাগ নেই । কিন্তু তাতেও কাটেনি রহস্যের জট । যুবতির মায়ের ভূমিকা নিয়ে রহস্য রয়েই গেছে ।


29 ডিসেম্বর কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা নিলম ধানানি(50) । হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন । স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভরতি করে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে । গতকাল নিলম তাঁর দাদা বিজয়কে ফোন করে জানান, মেয়ে গুড্ডন ওরফে কাভি (26) আত্মহত্যা করেছে । বাড়িতেই আছে দেহ । তারপর নিউ আলিপুর থানার খবর দেন গুড্ডনের মামা ৷ এরপর 9বি সাহাপুর রোডের একটি বহুতল থেকে গুড্ডনের দেহ উদ্ধার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দেহটি খাটের উপর ছিল । পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড় । তবে দেহটিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল । ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল দড়ির ফাঁস । ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট । সেটি গুড্ডনের মা নিলমের লেখা । সুইসাইড নোটে মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়াকে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন তিনি ।


ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে গুড্ডনের । পুলিশি তদন্ত জানা গেছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল গুড্ডনের । কিন্তু কোনও কারণে সেই বিয়ে ভেঙে যায় । তারপরেই না কি দুজনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন :নিউ আলিপুরে উদ্ধার যুবতির পচাগলা দেহ, মায়ের ভূমিকায় রহস্যের গন্ধ !

যদিও প্রশ্ন উঠেছে, মা-মেয়ে দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলে নিলম কেন হাওড়া স্টেশনে গেলেন ? তিনি পুলিশকে ঘটনার কথা জানালেন না কেন ? হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ না হয়ে পড়লে তাঁর কাটিহার যাওয়ার কথা ছিল । তাহলে কি মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন ?

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, প্রায় 10 দিন আগে মৃত্যু হয়েছে গুড্ডনের । অর্থাৎ মৃত্যু হয়েছে 28 ডিসেম্বর নাগাদ । তবে কি মেয়ের মৃত্যুর পর টানা 24 ঘণ্টা দেহ আগলে বসেছিলেন নিলম ? অনেকের মতে বিষয়টি ফের রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে ।

হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর নিলম সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল নিলমের । কিডনিরও সমস্যা আছে তাঁর । ফলে তার কাছ থেকে বেশি তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না । জেরাও করা যাচ্ছে না । ফলে তদন্তে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে । বেশকিছু মিসিং লিঙ্ক থাকলেও আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে লালবাজারকে ।

কলকাতা, 8 জানুয়ারি: বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে নিউ আলিপুরের যুবতির । ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে সেটাই । রিপোর্ট বলছে, শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না । কোন লিগেচার মার্কও নেই । অর্থাৎ গলায় কোনও ফাঁসের দাগ নেই । কিন্তু তাতেও কাটেনি রহস্যের জট । যুবতির মায়ের ভূমিকা নিয়ে রহস্য রয়েই গেছে ।


29 ডিসেম্বর কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা নিলম ধানানি(50) । হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন । স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভরতি করে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে । গতকাল নিলম তাঁর দাদা বিজয়কে ফোন করে জানান, মেয়ে গুড্ডন ওরফে কাভি (26) আত্মহত্যা করেছে । বাড়িতেই আছে দেহ । তারপর নিউ আলিপুর থানার খবর দেন গুড্ডনের মামা ৷ এরপর 9বি সাহাপুর রোডের একটি বহুতল থেকে গুড্ডনের দেহ উদ্ধার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দেহটি খাটের উপর ছিল । পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড় । তবে দেহটিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল । ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল দড়ির ফাঁস । ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট । সেটি গুড্ডনের মা নিলমের লেখা । সুইসাইড নোটে মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়াকে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন তিনি ।


ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে গুড্ডনের । পুলিশি তদন্ত জানা গেছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল গুড্ডনের । কিন্তু কোনও কারণে সেই বিয়ে ভেঙে যায় । তারপরেই না কি দুজনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন :নিউ আলিপুরে উদ্ধার যুবতির পচাগলা দেহ, মায়ের ভূমিকায় রহস্যের গন্ধ !

যদিও প্রশ্ন উঠেছে, মা-মেয়ে দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলে নিলম কেন হাওড়া স্টেশনে গেলেন ? তিনি পুলিশকে ঘটনার কথা জানালেন না কেন ? হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ না হয়ে পড়লে তাঁর কাটিহার যাওয়ার কথা ছিল । তাহলে কি মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন ?

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, প্রায় 10 দিন আগে মৃত্যু হয়েছে গুড্ডনের । অর্থাৎ মৃত্যু হয়েছে 28 ডিসেম্বর নাগাদ । তবে কি মেয়ের মৃত্যুর পর টানা 24 ঘণ্টা দেহ আগলে বসেছিলেন নিলম ? অনেকের মতে বিষয়টি ফের রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে ।

হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর নিলম সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল নিলমের । কিডনিরও সমস্যা আছে তাঁর । ফলে তার কাছ থেকে বেশি তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না । জেরাও করা যাচ্ছে না । ফলে তদন্তে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে । বেশকিছু মিসিং লিঙ্ক থাকলেও আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে লালবাজারকে ।

Intro:কলকাতা, 8 জানুয়ারি: বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হয়েছে নিউ আলিপুরের যুবতীর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে সেটাই। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কোন লিগেচার মার্কও নেই। অর্থাৎ গলায় কোন ফাঁস দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাতেও রহস্যের জট কাটেনি। যুবতীর মায়ের ভূমিকা নিয়ে রহস্য রয়েই গেছে।



Body:29 জানুয়ারি কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের নিলাম ধানানি। বয়স পঞ্চাশের কিছু বেশি। হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে। গতকাল নিলম তার দাদা বিজয়কে ফোন করে জানায় তার 26 বছরের মেয়ে গুড্ডন আত্মহত্যা করেছে। বাড়িতেই আছে দেহ। পুলিশ ওই যুবতীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করলেও, দেহটি খাটের উপর যত্ন করে রাখা ছিল। পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড়। সেখানে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। যেটি তার মায়ের হাতের লেখা। হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর নিলম সেরিব্রাল অ্যাটাকে আক্রান্ত। কিডনিরও কিছু সমস্যা আছে। প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, মা মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই নোট লিখেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ঘরের মধ্যে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি দড়ি গলায় ফাঁস লাগানোর মত করে ঝোলানো। পোস্টমর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ইঁদুর মারার বিষ।জাতিয় কিছুর কারণেই মৃত্যু হয়েছে যুবতীর। আর তার মা যে সুইসাইড-নোট লিখেছেন তাতে ওই যুবতীর বিয়ে ভেঙে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে।



Conclusion:পুলিশি তদন্ত বলছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই যুবতীর। মা-মেয়ের দাবি ছিল এক রকমের। কিন্তু ওই যুবতীর মেসোমশাই এবং দুঃসম্পর্কের কাকা সেই কথা রাখেনি। যার ফলে বিয়ে ভেঙে যায়। সেই কারণেই দু'জনের আত্মহত্যা। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার কথা বলা হলেও ওই মহিলা হাওড়া স্টেশনে গেলেন কিভাবে? ওই মহিলা পুলিশকে ঘটনার কথা জানালেন না কেন? হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ না হয়ে পড়লে, চলে যেতেন কাটিহার। মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন? পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে আজ থেকে 10 দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। অর্থাৎ মৃত্যু হয়েছে 28 ডিসেম্বর । সেদিন থেকে থেকে 29 তারিখ পর্যন্ত তবে কি মেয়ের মৃতদেহ আগলে ছিলেন নিলম? তবে কি আরো এক রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি? কাভির মায়ের সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি তার কিডনির সমস্যা রয়েছে। ফলে তার কাছ থেকে বেশি তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জেরাও করা যাচ্ছে না। ফলে তদন্তে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। বেশকিছু মিসিং লিঙ্ক থাকলেও আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে লালবাজারকে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.