কলকাতা, 3 নভেম্বর: "গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও তো একজন পুলিশ কনস্টেবল ৷ তিনি যদি 100 কোটিরও বেশি টাকার মালিক হতে পারেন, তাহলে একবালপুরের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলরাই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন ?" এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam) ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তরে নজরুল বলেন, দিন দিন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে একেবারে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও দুর্নীতি বাসা বাঁধছে ! এসবই সামগ্রিক অবক্ষয়ের ফলশ্রুতি বলে মনে করেন এই প্রাক্তন পুলিশকর্তা ৷
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একবালপুর থানার অধীনস্ত কলকাতা বন্দর এলাকায় দুই যুবকের কাছ থেকে 33 লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয় ৷ অভিযোগ, পরে ওই টাকার অর্ধেকেরও বেশি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেন নেন দুই পুলিশ কনস্টেবল এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ সূত্রের দাবি, উদ্ধার 33 লক্ষ টাকার মধ্যে 18 লক্ষ টাকা এই তিনজন নিজেদের মধ্যে ভাগ করেন নেন ! এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে ৷
আরও পড়ুন: একবালপুরে উদ্ধার 33 লক্ষ, তার থেকে 18 লক্ষ সরিয়ে ভাগাভাগি পুলিশকর্মীদের মধ্যে
তবে, 'রক্ষক' পুলিশের এমন 'ভক্ষক'-এর মতো আচরণের অভিযোগ নতুন কিছু নয় ৷ চলতি বছরের জুন মাসেই কলকাতার মৌলালির এক ব্যবসায়ী 1 কোটি 25 লক্ষ টাকা ডাকাতির অভিযোগ করেন ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং তালতলা থানা ৷ ডাকাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃতদের মধ্যে একজন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ! পরে জানা যায়, এই ঘটনায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কনস্টেবলও যুক্ত রয়েছেন ! পর পর এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ৷ এ নিয়ে বর্তমান পুলিশকর্তারা কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও ক্ষোভ ও হতাশা গোপন করেননি প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলাম ৷