কলকাতা, 17 জানুয়ারি: আগামী 22 জানুয়ারি রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন সম্প্রীতি মিছিলের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন তাঁর কালীঘাট থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল করারও কথা আছে। একই সঙ্গে, পার্ক সার্কাসে একটি জনসভাও করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল নেত্রীর এই উদ্যোগের নেপথ্যে রাজনীতি দেখছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
রাজ্য বিধানসভায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নওশাদ। সেখানেই তিনি এই বিষয় নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। নওশাদ বলেন, "22 তারিখ সংহতি মিছিলে যদি কোনও বিশৃঙ্খলা হয় তার দায়িত্ব কি রাজ্য সরকার নেবে ? 22 তারিখটাই বেছে নেওয়া হচ্ছে কেন ? বাংলায় উস্কানি দেওয়ার রাজনীতি হচ্ছে না তো ! আজকে রাম মন্দির ও বাবড়ি মসজিদ নিয়ে উনি অনেক কথা বলছেন। বাবড়ি মসজিদ ধ্বংসের পর এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো 1998 সালে বিজেপির হাত ধরেছিলেন। বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানীর কাছে তিনি গিয়েছিলেন। আমরা এসব ভুলে যাইনি।"
আইএসএফ বিধায়কের কথায়, "সত্যিই মানুষের কথা ভেবে, সম্প্রীতির কথা ভেবে তারপরের দিন অর্থাৎ 23 জানুয়ারি আমরা দেশপ্রেম দিবস পালন করছি। আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) দেশপ্রেম দিবসকে সামনে রেখে কর্মসূচি করুন। আমরাও হাঁটব। যদি কোনও বিশৃঙ্খলা ঘটে থাকে তার থেকে ভোটে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। 22 তারিখ কোনও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে ফাঁদে পা দেবেন না। বাইশের বদলে 23 তারিখ মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের কোনও একটি কর্মসূচি করুন। আমরাও তাঁর সঙ্গেই হাঁটব।" প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকীর এই বক্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সেই বিষয় নিয়ে কী বলা হয় এখন সেটাই দেখার। আদৌ তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয় কি না, সেদিকেই লক্ষ্য রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন
20 জানুয়ারি থেকে বুথ স্তরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মমতার
22 জানুয়ারি মমতার 'সম্প্রীতি মিছিল' আটকাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু
হিংসায় ইন্ধন দিতেই রামমন্দির উদ্বোধনের দিন মমতার সম্প্রীতি মিছিল, দাবি অমিত মালব্যর