কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: ডেন্টাল আহমেদের পর এবার নজরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ এমসিএইচে হাজির ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (National Medical Commission, NMC) টিম ৷ রাজ্যে এই প্রথম পরিদর্শনে এল এনএমসি ৷ প্রতিনিধি দলটি কলেজ ও হাসপাতাল ঘুরে দেখে ৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মোট 18টি বিভাগে গতকাল দুপুর থেকে পরিদর্শন চলে ৷ পরিকাঠামোর দিক দিয়ে সবকিছু সঠিক রয়েছে কি না, তাই সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এনএমসির এই বিশেষ দলটি ৷ এই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এনএমসিতে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
মেডিক্যাল কমিশনের এই দলে 15 জন সদস্য ছিলেন ৷ পোস্ট গ্রাজুয়েট স্তরের পঠনপাঠনে কোনও ঘাটতি বা খামতি রয়েছে কি না, তা দেখে এই প্রতিনিধি দলটি ৷ সূত্রের দাবি, এনএমসির সদস্যরা কলেজ ও হাসপাতালে আসার দিন ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এমনকী এই সময়ে কীভাবে ক্লাস চলছে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিদর্শক দলটি ৷ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিদর্শন চলেছে ৷ সন্ধ্যায় অধ্যক্ষের ঘরে বসে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা ৷ পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট দেবে এনএমসি ৷ তার আগে মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: অবশেষে ঘেরাও মুক্ত আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ
সম্প্রতি কলকাতার আহমেদ ডেন্টাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়েছিল ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ৷ সেই কলেজের পরিকাঠামোকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে ৷ রিপোর্ট জুড়ে শুধুই ঘাটতির ফর্দ ! আগামী শিক্ষাবর্ষে বিডিএসের 50 শতাংশ আসন হ্রাসের সুপারিশ করল কাউন্সিল ৷ এই রিপোর্ট যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে বিপাকে ফেলবে, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ কলেজে নেই পর্যাপ্ত অধ্যাপক, রয়েছে কর্মীর ঘাটতি, যন্ত্রাংশে মরচে পড়ে গিয়েছে ৷ ল্যাবরেটরির অবস্থাও তথৈবচ ৷ ডিসিআই-এর রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার এবং ডেন্টাল কলেজের পরিকাঠামো ৷ জানা গিয়েছে, রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবে এনএমসির দলটি ৷