কলকাতা, 4 নভেম্বর : সফল রাজনীতিক থেকে প্রশংসিত প্রশাসক ৷ 75 বছরের রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে একটাই কাঁটা রয়ে গেল ৷ আর সেটা হল, নারদ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেল যাত্রা ৷ বিংশ শতাব্দীর ছয়ের দশকে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু ৷ 60 বছরের বেশি সময় রাজনীতিতে থাকার পর এই একটাই অভিযোগ, যার জন্য তাঁকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল ৷ ওই একবারই ৷ বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে সিদ্ধহস্ত সুব্রতবাবুকে বাম জমানাতেও হাজতে যেতে হয়নি ৷
সেই ঘটনাও খুব একটা পুরনো নয় ৷ চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি নারদ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ তাঁর সঙ্গে সেদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ৷ সেই ঘটনা উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা ৷ স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই দফতরে ৷ বেশ কিছুদিনের আইনি টানাপোড়েন শেষে জামিন পেয়েছিলেন তিনি ৷
নারদের অভিযোগে তিনি যদিও একা অভিযুক্ত ছিলেন না ৷ 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ওই অভিযোগ সামনে এসেছিল ৷ বিজেপির দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই অভিযোগ আনা হয় ৷ সেখানে সুব্রত-ফিরহাদ-মদনের মতো হেভিওয়েট নেতাদের গোপন ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল ৷
আরও পড়ুন : প্রিয়-সুব্রত জুটির মতো আর কোনও জুটি বাংলার রাজনীতিতে হয়নি
যিনি দিয়েছিলেন, তাঁর দাবি ছিল যে ঘুষ হিসেবে ওই টাকা দেওয়া তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের ৷ আর তৃণমূলের দাবি ছিল, পুরো অভিযোগটাই ভিত্তিহীন ৷ কিন্তু সিবিআই তদন্ত শুরু হয় ৷ জেরার মুখে পড়েন অনেকে ৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন সেই তালিকায় ৷ গ্রেফতার হয়েছিলেন বটে, তবে দোষী সাব্যস্ত হননি ৷ অভিযুক্ত হিসেবেই তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে ক্লোজ হয়ে গেল তাঁর নারদ চ্যাপ্টারও ৷