কলকাতা, 15 মার্চ: রাজ্যপাল তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন । তাঁকে অপছন্দের কারণেই শেষ পর্যন্ত নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরে যেতে হয়েছিল রাজভবনের প্রধান সচিব পদ থেকে (Nandini Overcomes Raj Bhaban Snub)। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা যে তাঁর উপর অটুট, তা আরও একবার প্রমাণ হল । বার্লিনে পর্যটন দফতরকে ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অ্যান্ড অ্যাভিয়েশন লিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে বাংলাকে সংস্কৃতির সেরা গন্তব্য (Best Destination for Culture) পুরস্কার দেওয়া হয় । এই পুরস্কার আনতে পর্যটন দফতরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন নন্দিনী চক্রবর্তী ।
রাজভবন থেকে অপসারণের পর তাঁকে পর্যটন দফতরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Latest news)। বুধবার নবান্ন সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশন বোর্ডের বৈঠকে নন্দিনী চক্রবর্তী সেই পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন । ফলে আবার একই ফ্রেমে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী এবং এই সরকারি আমলাকে । রাজভবনের থেকে অপসারণের পর গত কয়েকদিন সে ভাবে সংবাদ শিরোনামে আসেননি নন্দিনী । আরও একবার তাঁকে প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
প্রসঙ্গত, এ দিন বৈঠকের মাঝেই রাজ্যের এই পুরস্কার প্রাপ্তির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তখন এই আমলা বলেন, তিনি এই পুরস্কারটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান । মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অনুমতি দেন । তিনি সোজা স্মারকটি নিয়ে চলে যান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবং তুলে দেন তাঁর হাতে ।
আরও পড়ুন: প্রজাপতি অধ্যায় অতীত, শাহরুখের ব্যস্ততায় দেবকেই পর্যটনে বাংলার মুখ করলেন মমতা
উল্লেখ্য, আমলা হিসাবে নন্দিনী চক্রবর্তী যথেষ্টই পরিচিত মুখ । আনুষ্ঠানিকভাবে না জানা গেলেও এই নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিয়েই নবান্নের অলিন্দে অনেক কথা শোনা যায় । একটা সময় মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় পাত্রী হিসাবে তিনি যেমন সফলভাবে ডব্লিউবিআইডিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলেছেন ঠিক তেমনই সামলেছেন তথ্যসংস্কৃতি দফরের সচিবের দায়িত্ব ।
আবার এই আমলাকেই একটা সময় দেখা যায় হঠাৎ করে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের সচিব হিসাবে প্রচারের আড়ালে চলে যেতে । পরবর্তীতে রাজ্যপালের সচিব হয়ে আবার সংবাদের শিরোনামে আসেন তিনি । তারপরে আবার সেখান থেকেও অপসারিত হতে হয় তাঁকে । এই মুহূর্তে পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব তিনি । রাজভবন যতই তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিক, এ দিনের ছবিই বলে দিল সরকার তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে ।