কলকাতা, 24 অক্টোবর: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang) ৷ আবহবিদদের পূর্বাভাস, সিত্রাং নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের খুব বেশি আশঙ্কার কোনও কারণ নেই ৷ তবুও সতর্ক রয়েছে নবান্ন (Nabanna) ৷ প্রশাসনের শীর্ষ কার্যালয়ের তরফ থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীকে ৷ একইসঙ্গে, দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর, সাগর, বকখালি-সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে বাড়তি সচেতন থাকতে বলা হয়েছে ৷
আবহাওয়া দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, খুব সম্ভবত গভীর রাত অথবা ভোরের দিকে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ৷ এদিকে, সোমবার অমাবস্য়া ৷ তাই ভরা কোটাল থাকায় সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এই কারণেই পর্যটকদের সৈকত থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সৈকতগুলিতে লাগাতার টহলদারিও চালাচ্ছে পুলিশ ৷ সমুদ্রস্নান বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়ে এগোচ্ছে সিত্রাং, সাগরদ্বীপ থেকে 300 কিমি দূরে এখন অবস্থান
একইভাবে কলকাতা পৌরনিগমকেও বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে ৷ যদিও কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা ৷ তবে নবান্নের নির্দেশ, এই সময় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তার ফলে জল জমে বিপত্তি হতে পারে ৷ যাতে বৃষ্টির জমা জল দ্রুত বের করে দেওয়া যায়, তার জন্য নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কার রাখা হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে, কোথাও ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়লে, তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনী ও পৌরনিগমের কর্মীদের তৈরি থাকতেও বলা হয়েছে ৷ গাছ কাটার সরঞ্জামগুলি তৈরি রাখতে বলা হয়েছে ৷
সিত্রাংয়ের প্রভাবে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে 80 (আশি) থেকে 100 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৷ এই বিষয়ে কলকাতা পৌরনিগমের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়া জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত যতটুকু খবর পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুসারে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে কথা বলে উপকূলবর্তী নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি, মিনাখা, হিঙ্গলগঞ্জের মতো এলাকাগুলি থেকে প্রায় 7 হাজার 500 মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে ৷ দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা, গোসাবার মতো জায়গাগুলি থেকে 9 হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সুরক্ষিত আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর-1 ও 2 ব্লকের প্রায় 16 হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানো হয়েছে ৷