ETV Bharat / state

Mocha Cyclone: মোকার প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত নবান্ন, বৈঠক শেষে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা - Chief Minister Mamata Banerjee

মোকার অভিমুখ কোনদিকে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট না হলেও, তা মোকাবিলায় প্রস্তুত নবান্ন ৷ সোমবারের বৈঠকের পর জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

Mocha Cyclone
মোকার মোকাবিলায় প্রস্তুত নবান্ন
author img

By

Published : May 8, 2023, 10:16 PM IST

কলকাতা, 8 মে: ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই ৷ সোমবার নবান্নের পর্যালোচনা বৈঠকের পর জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মৌসম ভবনের পূর্বাভাসের কারণে ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলা করতে নবান্ন প্রস্তুত তা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

নবান্নে এই দিনের বৈঠক ছিল মূলত সমন্বয় বৈঠক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সরকারের তরফ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। অতীতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, "দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যা শক্তি সঞ্চয় করলে মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। সেই গভীর নিম্নচাপ পরবর্তীতে আরও শক্তি সঞ্চয় করে বঙ্গোপসাগর বরাবর উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এলে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে সতর্কতা রয়েছে। যা পূর্বাভাস রয়েছে, তা মানলে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় 9 মে এবং 10 মে একটু ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। 10 মে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি সে রকম হয়, তবে 10 এবং 11 মে দিঘা এবং সুন্দরবনের মতো এলাকায় উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা সেরে ফেলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলও তৈরি রয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসাবে তৈরি রয়েছে সেচ ও কৃষি দফতরও।"

আরও পড়ুন: বাংলায় নিষিদ্ধ 'দ্য কেরালা স্টোরি', মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরেই সিদ্ধান্ত নবান্নের

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাতেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। সরকারের তরফ থেকে রাজ্য এবং জাতীয় দুই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেই সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে জেলাগুলিকে 25 লাখ ত্রিপল এবং 71 লক্ষ রিলিফ মেটেরিয়াল দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, তাতে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাত আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং তা গিয়ে আঘাত করতে পারে বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে। তবে রাজ্যে আঘাতের আশঙ্কা না থাকলেও কোনওভাবেই মোকা-কে হালকা করে দেখতে রাজি নয় রাজ্য প্রশাসন। আর সে কারণেই সোমবার প্রস্তুতি বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা, 8 মে: ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই ৷ সোমবার নবান্নের পর্যালোচনা বৈঠকের পর জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মৌসম ভবনের পূর্বাভাসের কারণে ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলা করতে নবান্ন প্রস্তুত তা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

নবান্নে এই দিনের বৈঠক ছিল মূলত সমন্বয় বৈঠক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সরকারের তরফ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। অতীতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, "দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যা শক্তি সঞ্চয় করলে মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। সেই গভীর নিম্নচাপ পরবর্তীতে আরও শক্তি সঞ্চয় করে বঙ্গোপসাগর বরাবর উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এলে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে সতর্কতা রয়েছে। যা পূর্বাভাস রয়েছে, তা মানলে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় 9 মে এবং 10 মে একটু ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। 10 মে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি সে রকম হয়, তবে 10 এবং 11 মে দিঘা এবং সুন্দরবনের মতো এলাকায় উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা সেরে ফেলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলও তৈরি রয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসাবে তৈরি রয়েছে সেচ ও কৃষি দফতরও।"

আরও পড়ুন: বাংলায় নিষিদ্ধ 'দ্য কেরালা স্টোরি', মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরেই সিদ্ধান্ত নবান্নের

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাতেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। সরকারের তরফ থেকে রাজ্য এবং জাতীয় দুই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেই সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে জেলাগুলিকে 25 লাখ ত্রিপল এবং 71 লক্ষ রিলিফ মেটেরিয়াল দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, তাতে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাত আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং তা গিয়ে আঘাত করতে পারে বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে। তবে রাজ্যে আঘাতের আশঙ্কা না থাকলেও কোনওভাবেই মোকা-কে হালকা করে দেখতে রাজি নয় রাজ্য প্রশাসন। আর সে কারণেই সোমবার প্রস্তুতি বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.