কলকাতা, 23 মে: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা, দক্ষিণ 24 পরগনার বজবজের পর মঙ্গলবার মালদার ইংরেজবাজারে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ৷ এই সমস্ত ঘটনায় একাধিক মৃত্যু হয়েছে । কারখানা হোক বা দোকান থেকে গুদামে মজুত বাজি, সমস্তটাই বেআইনি বলছেন বাজি বিক্রেতা সমিতির সংগঠক শুভঙ্কর মান্না । তাঁর কথায়, গত বছর থেকেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রিন বাজি ছাড়া আর সবটাই নিষিদ্ধ । যারা এখানে সাধারণ বাজি মজুত করেছে সবটাই বেআইনি । পুলিশ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিক ।
সবুজ বাজির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরির) সমস্ত নিয়ম মানতে হয় । দমকল থেকে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র লাগে । ওই বাজিতে এক ধরনের যৌগ দেওয়া হয় ৷ যা বাজিকে সহজে দহনাঙ্ক পৌঁছতে দেয় না । বাজি পুড়লে সেটা থেকে উৎপাদিত ধোঁয়াতে যে রাসায়নিক কণা থাকে সেটাকে সহজে জমাট বেধে ফেলে দেয় ৷ বাতাসে মিশতে দেয় না । এই বিশেষ যৌগ নিরির বিজ্ঞানীরাই তৈরি করেছে ।
তিনি জানান, এখন সবুজ বাজি থেকে যা দূষণ হবে সেটা আরও কমানোর গবেষণা চালানো হচ্ছে । রাজ্যে এই মুহূর্তে সবুজ বাজি তৈরির লাইসেন্স পেয়েছে মাত্র 15টি সংস্থা । এখন পর্যন্ত 40টি সংস্থা তাদের বাজির নমুনা দিয়ে রেখেছে ছাড়পত্র পায়নি । কী কী দিয়ে সবুজ বাজি তৈরি হবে সেই সমস্ত রাসায়নিক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নিরির তরফে । পাশাপাশি বাজি কারখানায় মৃত পরিবারদের সরকারি আর্থিক সহায়তা করা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন শুভঙ্কর । তিনি বলেন, "নিয়ম মেনে করলে ব্যবসা করলে মালিকের উচিৎ কর্মীদের বিমা করানো । সরকার কেন দেবে টাকা । চোর চুরি করতে গিয়ে মারা গেলে তার পরিবারকে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে ?"
এতদিন পর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সবুজ বাজির ক্লাস্টারের কথা বলেছেন ৷ সেই প্রসঙ্গে শুভঙ্কর বলেন, "আমরা বছরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিবেশমন্ত্রী মানস ভূঁইয়াকে মেল করে সেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম । এই বিষয়ে আলোচনাও হয় ।" সবুজ বাজি ছাড়া যেকোনও বাজি উৎপাদক, বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন তিনি ।
আরও পড়ুন: পরপর বিস্ফোরণেও ঢিলেঢালা নজরদারি ! উত্তর 24 পরগনায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি বাজির কারবার