কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: আবাসন প্রতারণা মামলায় অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে নয়া তথ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে ৷ তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিনেত্রী অভিযুক্ত সংস্থার থেকে নিয়মিত ভাতা পেতেন বলে অভিযোগ ৷ প্রত্যেক মাসে এই ভাতার টাকা চলে আসত সাংসদের কাছে ৷ ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে এমনটাই দাবি করছেন ইডির আধিকারিকরা ৷ ইতিমধ্যে, গত মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে এই মামলায় সাড়ে 6 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
ইডির তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন যে, তদন্তে নেমে নুসরতের এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা ৷ সেই নথিগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখার পর আধিকারিকরা জানতে পারেন, সাংসদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার চুক্তিতে এই ভাতার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তবে, মাস গেলে নুসরত জাহান ঠিক কত টাকা ভাতা হিসাবে পেতেন ? সেই বিষয়টি সামনে আনেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷
কিন্তু, কী কারণে নুসরত জাহান রুহি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত সংস্থার থেকে নিয়মিত ভাতা পেতেন ? তা জানার জন্য নতুনভাবে তদন্ত শুরু করেছে ইডি ৷ সেই সূত্রে আবারও নুসরতকে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ তবে, অভিনেত্রী তথা সাংসদকে ফের ইডি তলব করবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে ৷
আরও পড়ুন: 'সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি', সাড়ে 6 ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বললেন নুসরত
প্রথম যখন ইডি’র কাছে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়, তখন নুসরত জানিয়েছিলেন ফ্ল্যাট কিনবেন বলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে তিনি ঋণ নিয়েছিলেন ৷ যার পরিমাণ ছিল 1 কোটি 16 লক্ষ 30 হাজার 285 টাকা ৷ তাঁর দাবি ছিল, 2017 সালে সুদ-সহ 1 কোটি 40 লক্ষ 71 হাজার 995 টাকা ওই সংস্থাকে ফেরতও দিয়ে দেন ৷ ওই সংস্থার সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ নেই ৷ তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেন নুসরত ৷
যদিও, সংস্থার এক ডিরেক্টর রাকেশ সিং দাবি করেছেন, অভিনেত্রী নুসরত জাহান রুহি তাদের সংস্থা থেকে কোনও ঋণ নেননি ৷ আর সেই কারণে রাকেশ সিংকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ কিন্তু, তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি ৷ এমনকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে ৷