কলকাতা, 22 জুন : বেঙ্গালুরুতে থাকতেন শিল্পা । অমিত আগরওয়ালের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল তাঁর । আজ সন্ধ্যায় অমিতের পাশাপাশি শাশুড়ি ললিতা ধানধানিয়ার দেহ উদ্ধার হয় কাঁকুরগাছির ফ্ল্যাট থেকে । অমিতের শ্বশুর সুভাষ ধানধানিয়া পুলিশকে জানান শাশুড়িকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে অমিত। সেই ঘটনার পর পুলিশ শিল্পার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে । কিন্তু যোগাযোগ হয়নি। জানা যায়, ব্যাঙ্গালুরু থেকে উদ্ধার হয়েছে শিল্পার দেহ।
আজ সন্ধ্যায় অমিত ফুলবাগান থানা এলাকার আর কে সমাধি রোডের রামেশ্বরম বিল্ডিংয়ের বি-ব্লকে শ্বশুর বাড়ির ফ্ল্যাটে আসেন। স্ত্রী শিল্পীর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয় শ্বশুর সুভাষ ধানধানিয়া এবং শাশুড়ি ললিতা ধানধানিয়ার সঙ্গে । চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় । অন্তত পুলিশকে তেমনটাই জানিয়েছেন 70 বছরের সুভাষ । তর্কাতর্কির মাঝে অমিত পিস্তল বের করে খুব কাছ থেকে ললিতাকে গুলি করেন । খুবই ভয় পেয়ে যান সুভাষ। তিনি কোনও রকমে ফ্ল্যাট থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন ৷ বাইরের দিক থেকে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে দেন । দৌড়ে চলে যান প্রতিবেশীদের ফ্ল্যাটে । এরপর ফুলবাগান থানায় খবর দেন ।
এদিকে কর্মসূত্রে শিল্পা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, আজ বিকেলের উড়ানে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা আসেন অমিত । শিল্পার ঘরে উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ । ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু পুলিশ সক্রিয় হয়েছে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় । শিল্পার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মনে করছে বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী'কে খুন করার পর শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করতে চেয়েছিল অমিত। কিন্তু, কোন আক্রোশ থেকে এতজনকে একসঙ্গে খুনের পরিকল্পনা ? পুলিশ মনে করছে, এর পেছনে রয়েছে বড় কোনও রহস্য । প্রবল রাগ না থাকলে এজিনিস হতে পারে না।