ETV Bharat / state

Subho Noboborsho: পয়লা বৈশাখে সৌভ্রাত্বের বার্তা, কলকাতার রাজপথে পালিত মঙ্গল শোভাযাত্রা

শনিবার কলকাতার রাস্তায় অনুষ্ঠিত হল মঙ্গল শোভাযাত্রা ৷ সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিতেই পয়লা বৈশাখে এই আয়োজন উদ্য়োক্তাদের ৷

Mongol Shovajatra celebrated in Kolkata on Pohela Boishakh
কলকাতায় মঙ্গল শোভাযাত্রা
author img

By

Published : Apr 15, 2023, 8:21 PM IST

সাড়ম্বরে পালিত হল মঙ্গল শোভাযাত্রা

কলকাতা, 15 এপ্রিল: বাঙালি যতই 'হ্যাপি নিউ ইয়ার' বলুক, তার আবেগ জড়িয়ে থাকে 'শুভ নববর্ষ'-এর সঙ্গে ৷ এখনকার বাঙালিকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলতে পারবেন না, বাংলা ক্য়ালেন্ডার অনুসারে সেদিন কত তারিখ ! কারণ, বাঙালি এখন জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের হিসাবেই অভ্যস্থ ৷ তারপরও বাংলা ক্য়ালেন্ডারের কিছু তারিখ বাঙালি কখনও ভোলে না ৷ বৈশাখের প্রথম দিনটি তার অন্যতম ৷ এই দিনটি বাঙালির কাছে শুধুমাত্র উৎসব বা প্রার্থনার নয়, এই দিন প্রকৃত অর্থেই বিশ্ব মানবতার সঙ্গে বাঙালির একাত্ম হওয়ার দিন ৷ আর সেই উপলক্ষেই শনিবার শহর কলকাতার রাজপথে আয়োজিত হল এক অনন্য শোভাযাত্রা ৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা ৷

বাঙালি সংস্কৃতিপ্রেমী ৷ বাঙালি পড়তে, গাইতে, নাচতে ভালোবাসে ৷ ধর্মের বেড়াজাল বাঙালির নাপসন্দ ৷ কিন্তু, যুগের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে ৷ তাতে ভালো যেমন অনেক কিছু আছে, তেমনই আছে কিছু অনভিপ্রেত পরিবর্তন ৷ ধর্মকে শিখণ্ডী করে হানাহানির ফিকির খোঁজা তেমনই এক বদল ৷ আর এই অযাচিত বদলের চেষ্টার প্রতিবাদেই শনিবার পথে নামে বাঙালি ৷ আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গের মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র ৷ এদিন কলকাতার গাঙ্গুলিবাগান থেকে যাদবপুর পর্যন্ত এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলান অসংখ্য মানুষ ৷

উদ্যোক্তারা জানালেন, গত একমাস ধরে এই শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সারা হয়েছে ৷ নিয়মিত কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন শিল্পীরা ৷ বানানো হয়েছে রঙিন ম্যাসকট ৷ তাতে জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পশু মেছো বিড়াল ৷ তৈরি হয়েছে বাউল, বুলবুলি পাখি, নৌকা প্রভৃতির মুখোশ ৷ প্রত্যেক সজ্জা সামগ্রীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, ও সংস্কৃতি ৷ এসবের জন্য শিল্পীরা বিনা পারিশ্রমিকের তাঁদের শ্রম দান করেছেন ৷

আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বরে মানুষের ঢল, তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে মায়ের দুয়ারে ভক্তরা

শনিবারের এই আয়োজনে সামিল হতে মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছিল জারি গানের দল, বীরভূম থেকে এসেছিল হাপু ও বোলান গানের দল ৷ এই সমস্ত দলের সদস্যরা এদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ৷ উপস্থিত ছিলেন পবিত্র সরকার ৷ শোভাযাত্রার মূল ভাবনা হল, নিখাদ বঙ্গ সংস্কৃতির উপস্থাপনা ৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বেহালা বাদক রহমত ৷ শোভাযাত্রা থেকে শুধুমাত্র বাঙালি সমাজ নয়, সেইসঙ্গে সমগ্র মানবজাতিকেই সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার জয়গান গাওয়ার আহ্বান জানানো হয় ৷

সাড়ম্বরে পালিত হল মঙ্গল শোভাযাত্রা

কলকাতা, 15 এপ্রিল: বাঙালি যতই 'হ্যাপি নিউ ইয়ার' বলুক, তার আবেগ জড়িয়ে থাকে 'শুভ নববর্ষ'-এর সঙ্গে ৷ এখনকার বাঙালিকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলতে পারবেন না, বাংলা ক্য়ালেন্ডার অনুসারে সেদিন কত তারিখ ! কারণ, বাঙালি এখন জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের হিসাবেই অভ্যস্থ ৷ তারপরও বাংলা ক্য়ালেন্ডারের কিছু তারিখ বাঙালি কখনও ভোলে না ৷ বৈশাখের প্রথম দিনটি তার অন্যতম ৷ এই দিনটি বাঙালির কাছে শুধুমাত্র উৎসব বা প্রার্থনার নয়, এই দিন প্রকৃত অর্থেই বিশ্ব মানবতার সঙ্গে বাঙালির একাত্ম হওয়ার দিন ৷ আর সেই উপলক্ষেই শনিবার শহর কলকাতার রাজপথে আয়োজিত হল এক অনন্য শোভাযাত্রা ৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা ৷

বাঙালি সংস্কৃতিপ্রেমী ৷ বাঙালি পড়তে, গাইতে, নাচতে ভালোবাসে ৷ ধর্মের বেড়াজাল বাঙালির নাপসন্দ ৷ কিন্তু, যুগের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে ৷ তাতে ভালো যেমন অনেক কিছু আছে, তেমনই আছে কিছু অনভিপ্রেত পরিবর্তন ৷ ধর্মকে শিখণ্ডী করে হানাহানির ফিকির খোঁজা তেমনই এক বদল ৷ আর এই অযাচিত বদলের চেষ্টার প্রতিবাদেই শনিবার পথে নামে বাঙালি ৷ আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গের মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র ৷ এদিন কলকাতার গাঙ্গুলিবাগান থেকে যাদবপুর পর্যন্ত এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলান অসংখ্য মানুষ ৷

উদ্যোক্তারা জানালেন, গত একমাস ধরে এই শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সারা হয়েছে ৷ নিয়মিত কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন শিল্পীরা ৷ বানানো হয়েছে রঙিন ম্যাসকট ৷ তাতে জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পশু মেছো বিড়াল ৷ তৈরি হয়েছে বাউল, বুলবুলি পাখি, নৌকা প্রভৃতির মুখোশ ৷ প্রত্যেক সজ্জা সামগ্রীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, ও সংস্কৃতি ৷ এসবের জন্য শিল্পীরা বিনা পারিশ্রমিকের তাঁদের শ্রম দান করেছেন ৷

আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বরে মানুষের ঢল, তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে মায়ের দুয়ারে ভক্তরা

শনিবারের এই আয়োজনে সামিল হতে মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছিল জারি গানের দল, বীরভূম থেকে এসেছিল হাপু ও বোলান গানের দল ৷ এই সমস্ত দলের সদস্যরা এদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ৷ উপস্থিত ছিলেন পবিত্র সরকার ৷ শোভাযাত্রার মূল ভাবনা হল, নিখাদ বঙ্গ সংস্কৃতির উপস্থাপনা ৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বেহালা বাদক রহমত ৷ শোভাযাত্রা থেকে শুধুমাত্র বাঙালি সমাজ নয়, সেইসঙ্গে সমগ্র মানবজাতিকেই সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার জয়গান গাওয়ার আহ্বান জানানো হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.