ETV Bharat / state

TMC MLAs Absent in Assembly: বিধানসভার আলোচনায় গড়হাজির থাকেন বিধায়করা! নজর রাখতে দলীয় খাতা চালু করছে তৃণমূল - তৃণমূল কংগ্রেস

পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে আলোচনায় গড়হাজির ছিলেন 48 জন বিধায়ক ৷ যা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ এবার হাজিরা পর্যালোচনা করতে বিধানসভায় দলীয় ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে তৃণমূল ৷

Etv Bharat
পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ে
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 20, 2023, 10:59 PM IST

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: বিধানসভা চলাকালীন এবার দলীয় হাজিরার খাতা চালু করতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় বৈঠকে বসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যরা। সেখানেই ঠিক হয় দলীয় মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, অধিবেশন চলাকালীন নিজের ইচ্ছা, খুশিমতো আসা-যাওয়া আর মেনে নেওয়া হবে না। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন অনেক বিধায়কই বিধানসভার হাজিরার খাতায় সই করে ঘর মুখো হন।

বিধানসভার আলোচনার শেষে ভোটাভুটিতে দল হারল না জিতল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। নির্দিষ্ট কিছু বিধায়কের এই ধরনের মানসিকতায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে আলোচনার দিন যেভাবে শাসকদলের বিধায়কদের একটা বড় অংশ ভোটাভুটির সময় হাজির ছিলেন না, তাতে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ দলনেত্রী। আর সে কারণেই এই বিষয় নিয়ে এদিন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলা দিবস নিয়ে আলোচনার দিন বিধানসভা কক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন শাসকদলের 48 জন বিধায়ক। ফলে তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণও করেনি। যদিও তাদের এই অনুপস্থিতি ভোটাভুটিতে জেতার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা তৈরি করেনি তবে এই 48 বিধায়ককে পরিষদীয় দলের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে, এই ঘটনার পর পরই শাসকদলের তরফ থেকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বুধবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা চলাকালীন বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকা এবং ভোটাভুটিতে অংশ না নেওয়া দল বিরোধী কাজের সমান।

তাঁর কথায়, "আমরা কোনওভাবেই এই বিষয়টিকে মেনে নেব না। আগামী দিনে এই ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি এও বলেন, "প্রত্যেক শাসকদলের বিধায়ককে দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। দলের নির্দেশ মেনে বিধানসভায় আসতে হবে। বাংলার মানুষ তাদের নির্বাচিত করেছেন তাদের দাবি দেওয়ার কথা বিধানসভায় তুলে ধরার জন্য কোনওভাবেই এগুলিকে অগ্রাহ্য করা যাবে না।" এদিন পরিষদীয়মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দলীয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের জন্য দু’টি হাজিরা খাতা তৈরি করা হয়েছে। একটি থাকবে পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে। অন্যটি থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে।

আরও পড়ুন: ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান ! মমতার মতো মহিলাদের সংরক্ষণ 40% করুন, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ কাকলির

শাসকদলের প্রত্যেক বিধায়ককে বিধানসভার হাজিরার খাতায় স্বাক্ষরের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতকের ঘরে থাকা হাজিরার খাতায় সই করতে হবে। এই খাতায় নির্দিষ্ট থাকবে কখন তিনি বিধানসভায় এলেন এবং কখন বিধানসভা থেকে বের হচ্ছেন। একইভাবে মন্ত্রীদের হাজিরার জন্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে থাকবে খাতা। এদিন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি আজকে বসেছিল আমরা কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেগুলি মুখ্যমন্ত্রী ফিরলে তার কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপর তা নোটিশ আকারে প্রত্যেক বিধায়কের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।"

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: বিধানসভা চলাকালীন এবার দলীয় হাজিরার খাতা চালু করতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় বৈঠকে বসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যরা। সেখানেই ঠিক হয় দলীয় মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, অধিবেশন চলাকালীন নিজের ইচ্ছা, খুশিমতো আসা-যাওয়া আর মেনে নেওয়া হবে না। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন অনেক বিধায়কই বিধানসভার হাজিরার খাতায় সই করে ঘর মুখো হন।

বিধানসভার আলোচনার শেষে ভোটাভুটিতে দল হারল না জিতল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। নির্দিষ্ট কিছু বিধায়কের এই ধরনের মানসিকতায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে আলোচনার দিন যেভাবে শাসকদলের বিধায়কদের একটা বড় অংশ ভোটাভুটির সময় হাজির ছিলেন না, তাতে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ দলনেত্রী। আর সে কারণেই এই বিষয় নিয়ে এদিন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলা দিবস নিয়ে আলোচনার দিন বিধানসভা কক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন শাসকদলের 48 জন বিধায়ক। ফলে তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণও করেনি। যদিও তাদের এই অনুপস্থিতি ভোটাভুটিতে জেতার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা তৈরি করেনি তবে এই 48 বিধায়ককে পরিষদীয় দলের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে, এই ঘটনার পর পরই শাসকদলের তরফ থেকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বুধবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা চলাকালীন বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকা এবং ভোটাভুটিতে অংশ না নেওয়া দল বিরোধী কাজের সমান।

তাঁর কথায়, "আমরা কোনওভাবেই এই বিষয়টিকে মেনে নেব না। আগামী দিনে এই ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি এও বলেন, "প্রত্যেক শাসকদলের বিধায়ককে দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। দলের নির্দেশ মেনে বিধানসভায় আসতে হবে। বাংলার মানুষ তাদের নির্বাচিত করেছেন তাদের দাবি দেওয়ার কথা বিধানসভায় তুলে ধরার জন্য কোনওভাবেই এগুলিকে অগ্রাহ্য করা যাবে না।" এদিন পরিষদীয়মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দলীয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের জন্য দু’টি হাজিরা খাতা তৈরি করা হয়েছে। একটি থাকবে পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে। অন্যটি থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে।

আরও পড়ুন: ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান ! মমতার মতো মহিলাদের সংরক্ষণ 40% করুন, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ কাকলির

শাসকদলের প্রত্যেক বিধায়ককে বিধানসভার হাজিরার খাতায় স্বাক্ষরের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতকের ঘরে থাকা হাজিরার খাতায় সই করতে হবে। এই খাতায় নির্দিষ্ট থাকবে কখন তিনি বিধানসভায় এলেন এবং কখন বিধানসভা থেকে বের হচ্ছেন। একইভাবে মন্ত্রীদের হাজিরার জন্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে থাকবে খাতা। এদিন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি আজকে বসেছিল আমরা কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেগুলি মুখ্যমন্ত্রী ফিরলে তার কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপর তা নোটিশ আকারে প্রত্যেক বিধায়কের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.