ETV Bharat / state

Snehasis over Sukanta: 'নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিজয় মালিয়া-নীরব মোদির ছবি দেখেছি', স্নেহাশিস - ইডিকে আক্রমণ করে স্নেহাশিস চক্রবর্তী

ব্যবসায়ী মনজিৎ সিংয়ের অফিস এবং তাঁর পরিচিত একজনের বাড়ি থেকে নগদ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ৷ তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ পালটা তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (ED recovers crores in Kolkata) ৷

Snehasis Chakraborty
স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদার
author img

By

Published : Feb 10, 2023, 7:15 AM IST

কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: দোষ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ কারও বাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধার হলে তাঁকে টেনে আনা উচিত নয় । এভাবেই বিজেপির আক্রমণের পালটা জবাব দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেন, "মনে হচ্ছে ইডি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ৷ এবার খুব শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে ৷" জবাবে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, "সুকান্ত মজুমদাররা বাজে বকছে ৷ আমিও সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীকে চিনি ৷ আমরা তো সবাই সবাইকে চিনি ৷ মিডিয়ার দৌলতে, রাজনীতি করতে গিয়ে চিনি ৷ ওই চেনা দিয়ে কি হবে ? যে যা দোষ করবে, আইন মেনে শাস্তি পাবে ৷"

এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেকেও বাদ দেননি ৷ তাঁর কথায়, "কোনওদিন যদি আমি অন্যায় করি, আমিও শাস্তি পাব ৷ তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই ৷" এই শাস্তি থেকে কেউ রেহাই পাবে না ৷ পরিবহণ মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, "এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতরে হোক, তার সঙ্গে সম্পর্কিত হোক, তার থেকে 100 মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষই হোক, যে অন্যায় করবে, সে তো শাস্তি পাবেই ৷ আইন আইনের পথে চলবে ৷ তাই তার সঙ্গে কার সম্পর্ক আছে, কার সঙ্গে কার ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে কিছু হবে না ৷ আমরাও তো নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিজয় মালিয়া থেকে শুরু করে নীরব মোদির ছবি দেখেছি ৷ ওরা তো পালিয়ে বেড়াচ্ছে ৷ তাহলে নরেন্দ্র মোদী আছেন কেন ? তাঁরও তো তাহলে পালিয়ে যাওয়া উচিত ।"

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর কাজ প্রসঙ্গে বাংলার শাসকদলের মন্ত্রী জানান, দেশে যেখানে কালো টাকা, আয়-বহির্ভূত টাকা রয়েছে, তা উদ্ধার করা তাদের কাজ ৷ ইডিকে আক্রমণ করে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গায় এরকম কোটি কোটি টাকা তারা উদ্ধার করে ৷ তা কিন্তু সাধারণ মানুষ জানতেও পারে না ৷ এখানে কার কোন জায়গা থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটাই সারাদিন ধরে দেখানো হচ্ছে ৷ প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এরকম টাকা উদ্ধার করছে ইডি ৷ এটা খোঁজ নিয়ে দেখুন ৷"

আরও পড়ুন: শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসছে !' কেন একথা বললেন সুকান্ত ?

প্রসঙ্গত, বুধবার, 8 ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মনজিৎ সিংয়ের অফিস এবং তাঁর এক পরিচিতের বাড়ি থেকে নগদ 1 কোটি 40 লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি ৷ ইডি সূত্রের দাবি, কয়লা পাচারের টাকা কোনও ভাবে মনজিত সিংয়ের কাছে আসছে ৷ তিনি শহরে একটি ধাবার মালিক এবং দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি ৷ মনজিৎ সিংয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এক আত্মীয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার ৷ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি এ নিয়ে একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে লেখেন, "ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি ! শোনা যাচ্ছে কয়লা কাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিত সিং গেরেওয়াল । যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি । দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দ শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন ?"

কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: দোষ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ কারও বাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধার হলে তাঁকে টেনে আনা উচিত নয় । এভাবেই বিজেপির আক্রমণের পালটা জবাব দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেন, "মনে হচ্ছে ইডি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ৷ এবার খুব শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে ৷" জবাবে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, "সুকান্ত মজুমদাররা বাজে বকছে ৷ আমিও সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীকে চিনি ৷ আমরা তো সবাই সবাইকে চিনি ৷ মিডিয়ার দৌলতে, রাজনীতি করতে গিয়ে চিনি ৷ ওই চেনা দিয়ে কি হবে ? যে যা দোষ করবে, আইন মেনে শাস্তি পাবে ৷"

এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেকেও বাদ দেননি ৷ তাঁর কথায়, "কোনওদিন যদি আমি অন্যায় করি, আমিও শাস্তি পাব ৷ তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই ৷" এই শাস্তি থেকে কেউ রেহাই পাবে না ৷ পরিবহণ মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, "এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতরে হোক, তার সঙ্গে সম্পর্কিত হোক, তার থেকে 100 মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষই হোক, যে অন্যায় করবে, সে তো শাস্তি পাবেই ৷ আইন আইনের পথে চলবে ৷ তাই তার সঙ্গে কার সম্পর্ক আছে, কার সঙ্গে কার ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে কিছু হবে না ৷ আমরাও তো নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিজয় মালিয়া থেকে শুরু করে নীরব মোদির ছবি দেখেছি ৷ ওরা তো পালিয়ে বেড়াচ্ছে ৷ তাহলে নরেন্দ্র মোদী আছেন কেন ? তাঁরও তো তাহলে পালিয়ে যাওয়া উচিত ।"

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর কাজ প্রসঙ্গে বাংলার শাসকদলের মন্ত্রী জানান, দেশে যেখানে কালো টাকা, আয়-বহির্ভূত টাকা রয়েছে, তা উদ্ধার করা তাদের কাজ ৷ ইডিকে আক্রমণ করে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গায় এরকম কোটি কোটি টাকা তারা উদ্ধার করে ৷ তা কিন্তু সাধারণ মানুষ জানতেও পারে না ৷ এখানে কার কোন জায়গা থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটাই সারাদিন ধরে দেখানো হচ্ছে ৷ প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এরকম টাকা উদ্ধার করছে ইডি ৷ এটা খোঁজ নিয়ে দেখুন ৷"

আরও পড়ুন: শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসছে !' কেন একথা বললেন সুকান্ত ?

প্রসঙ্গত, বুধবার, 8 ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মনজিৎ সিংয়ের অফিস এবং তাঁর এক পরিচিতের বাড়ি থেকে নগদ 1 কোটি 40 লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি ৷ ইডি সূত্রের দাবি, কয়লা পাচারের টাকা কোনও ভাবে মনজিত সিংয়ের কাছে আসছে ৷ তিনি শহরে একটি ধাবার মালিক এবং দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি ৷ মনজিৎ সিংয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এক আত্মীয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার ৷ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি এ নিয়ে একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে লেখেন, "ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি ! শোনা যাচ্ছে কয়লা কাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিত সিং গেরেওয়াল । যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি । দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দ শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন ?"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.