কলকাতা, 16 নভেম্বর: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতির (Bengal Recruitment Scam) তদন্ত নিয়ে সিবিআই-এর কাজে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) ৷ বুধবার এই মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘দেখতে পাচ্ছি সিবিআই (CBI) খুব ধীর গতিতে কাজ করছে ।’’ এই পরিস্থিতিতে তিনি এই মামলার তদন্তের সিট (SIT) থেকে দুই অফিসারকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন ৷ সিবিআই-এর দেওয়া নাম থেকে চারজনের নাম সিটে যুক্ত করেছেন ৷ পাশাপাশি এক আধিকারিককে সিটের প্রধান হিসেবে দায়িত্বও দিয়েছেন ৷
প্রসঙ্গত, এদিন গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন । সিবিআইকে তিনি বলেন, ‘‘দেখতে পাচ্ছি সিবিআই খুব ধীর গতিতে কাজ করছে । তদন্তের জন্য 6 সদস্য বিশিষ্ট সিট তৈরি হয়েছিল 17 জুন 2022 ৷ এখন নভেম্বরের মাঝামাঝি । 542 জনের মধ্যে গ্রুপ-ডি তে মাত্র 16 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছে সিবিআই । 542 জন প্রার্থীকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছুই সামনে আসবে ।’’
এদিন সিটেও রদবদল করেছেন বিচারপতি ৷ সিট থেকে কে সি ঋষিনামল, ইমরান আসিক নামে সিবিআই-এর দুই আধিকারিককে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷ জানিয়েছেন, ওই দুই আধিকারিক কোনোরকম তদন্তের কাগজপত্রে হাত দিতে পারবেন না । কিন্তু এই দুই অফিসারকে অন্য দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । একই সঙ্গে অংশুমান সাহা, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠি, ওয়াসিম আক্রমকে সিটে নতুন করে যুক্ত করেছেন ৷
যেহেতু কলকাতায় সিবিআইয়ের কোনও ডিআইজি নেই, তাই সিবিআই অফিসার অখিলেশ সিংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিতে । তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো যাবে না বলেও আদালত নির্দেশ দিয়েছে ।
আদালতের আরও নির্দেশ, সিবিআইকে গ্রুপ-সি ও ডি এর ওএমআর শিটের 40টি কপি দিতে বলা হয়েছে মামলাকারীদের । তারা দেখবে মূল প্যানেলে এদের নাম ছিল কি না ! স্কুল সার্ভিস কমিশন যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল গ্রুপ-সি ও ডি এর, সেগুলো ১৮ নভেম্বর মধ্যে দেবে মামলাকারীদের ।
অন্যদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য একটা আবেদন জমা দিয়েছেন ৷ সেখানে বলা হয়েছে, সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করা হয়েছে চাকরিহারাদের চাকরি দেওয়ার জন্য । এদিকে সুতনু পাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানান, এই রকম চারটি আবেদন পেয়েছেন যাতে চাকরি না দেওয়া হয় । সেগুলো নিয়ে 22 নভেম্বর শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন: ধরনার বিরোধিতায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ