কলকাতা, 12 জুন : শুক্রবারই তাঁর জোড়াফুলে ওয়াপসি হয়েছে ৷ আর যোগদানের পরই শনিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুকুল রায় ।
শনিবার বিকেলে সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে চারটে পনেরো নাগাদ সরাসরি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে পৌঁছে যান মুকুল রায় । সেখানে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেক ৷ মূলত আগামীদিনে তৃণমূলে মুকুল রায়ের ভূমিকা কী হতে চলেছে ? তাঁকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এবং রাজ্যস্তরে কীভাবে কাজে লাগাবে দল, সেটিই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে ৷
দল ছাড়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন মুকুল রায় । নতুন করে দলে ফিরে, তাঁর পদ কী হবে ৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো মুকুল রায় অতীতে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড । দীর্ঘদিন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি । সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে অন্যতম প্রধান পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি ।
এমতাবস্থায় মুকুলকে সম্মানজনক পদ দিয়েই দল ব্যবহার করবে, এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলে । যদিও এদিনের বৈঠক নিয়ে মুকুল রায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেউই মুখ খোলেননি । তবে তৃণমূল সূত্র থেকে জানা গিয়েছে , আগামী দিনে ছয় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জুটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে । মুকুল রায়কে সামনে রেখেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করতে পারে তৃণমূল ।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নিতে আবেদনের পরেও মুকুলের বাড়িতে সিআইএসএফ জওয়ানরা
এদিনের এক ঘণ্টার বৈঠকে মুকুল অনুগামীদের দলের ফেরানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । ধাপে ধাপে তাঁদের তৃণমূলে ফেরানো হতে পারে । এদিনের বৈঠকে শুভ্রাংশু রায়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর । মুকুল রায় কৃষ্ণনগর উত্তরের আসনে পদত্যাগ করলে শুভ্রাংশু রায়কে ওই আসনে প্রার্থী করা হতে পারে । সেক্ষেত্রে মুকুল রায়কে তাঁর ইচ্ছা অনুসারে রাজ্যসভার আসনে জিতিয়ে আনা হতে পারে ।