ETV Bharat / state

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গেই আছে, যাদবপুরের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

Bratya Basu: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ৷ কর্মসমিতির বৈঠক ছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷

Etv Bharat
যাদবপুরের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 8, 2023, 10:00 PM IST

কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: বহু বিতর্কের পর অবশেষে মুখোমুখি হলেন শিক্ষামন্ত্রী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য । শুক্রবার দুপুর দু'টো নাগাদ বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের কথা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর । কর্মসমিতির বৈঠক নিয়েও আলোচনা হয় এদিন । কর্মসমিতির বৈঠকে বাধা কীসের, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তাও জানতে চান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ।

রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক বিরোধ দেখা গিয়েছিল শিক্ষামহলে । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও তার বাইরে নয় । এই বিশ্ববিদ্যালয় একাধিকবার কর্মসমিতির বৈঠকের ডাক দিলেও তাতে অনুমতি দেয়নি উচ্চশিক্ষা দফতর । সেই সবকিছু নিয়েই এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য । তার পাশাপাশি কথা হয় আসন্ন সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরেও । তাছাড়াও এদিনের আলোচনায় উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট, বিভিন্ন কোর্স প্রসঙ্গও । এই বৈঠক ঘিরে অন্তবর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "ইসি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় । যেহেতু আমাদের ইসি করতে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছিল । তাই কোথায় সমস্যা তা জানতেই আমি এসেছিলাম । রাজভবন, উচ্চশিক্ষা দফতর ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - এই তিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে বিশ্ববিদ্যালয় । যেহেতু আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । তাই চাই না কোথাও ভুল বোঝাবুঝির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খামতি থেকে যায় ।"

সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সদস্য শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন । মাত্র 30 মিনিটের বৈঠকেই বেশ কিছু জট কেটেছে বলেই ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর । ব্রাত্য বসু বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই ওরা আমাদের সঙ্গে একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ চাইছিলেন অনেকদিন ধরে । আজকে আমি সেই সময় দিয়েছিলাম । ওদের যাঁরা অ্যাপয়েন্টটিং অথরিটি তিনি বা তাঁরা ওদের উপর চাপ তৈরি করছেন । যাতে এই সরকারের পক্ষে যে অধ্যাপক বা প্রাক্তন উপাচার্য আছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ।" বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গেই আছে বলে দাবি ব্রাত্যর ।

তিনি আরও বলেন, "ওরা বলতে চাইছেন ওদের অ্যাপয়েন্টটিং অথরিটি কেউ থাকতেই পারে কিন্তু ওরা সরকারের সঙ্গেই আছে । একই সঙ্গে ওরা ওদের এক্সিকিউটিভ কমিটি মিটিংয়ের কথা বললেন । এগুলো পুরোটাই আইনি ব্যাপার, সুপ্রিম কোর্টের অধীনে মামলার এক্তিয়ারভুক্ত হয়ে আছে । আমি এটা নিয়ে কোনও কথা বলতে পারছি না । আপনারা এগুলো বললেন আমি শুনলাম, আইনি পরামর্শ নেব ।"

আরও পড়ুন :

1 যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক ঘিরে বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্রাত্যর

2 উপাচার্য বনাম ডক্টরল কমিটির টানাপোড়েন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ভরতি ঘিরে সমস্যা

3 'অস্থায়ী উপাচার্যের ডাকা সিন্ডিকেট বৈঠক অবৈধ', কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি রাজ্যের

কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: বহু বিতর্কের পর অবশেষে মুখোমুখি হলেন শিক্ষামন্ত্রী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য । শুক্রবার দুপুর দু'টো নাগাদ বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের কথা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর । কর্মসমিতির বৈঠক নিয়েও আলোচনা হয় এদিন । কর্মসমিতির বৈঠকে বাধা কীসের, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তাও জানতে চান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ।

রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক বিরোধ দেখা গিয়েছিল শিক্ষামহলে । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও তার বাইরে নয় । এই বিশ্ববিদ্যালয় একাধিকবার কর্মসমিতির বৈঠকের ডাক দিলেও তাতে অনুমতি দেয়নি উচ্চশিক্ষা দফতর । সেই সবকিছু নিয়েই এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য । তার পাশাপাশি কথা হয় আসন্ন সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরেও । তাছাড়াও এদিনের আলোচনায় উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট, বিভিন্ন কোর্স প্রসঙ্গও । এই বৈঠক ঘিরে অন্তবর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "ইসি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় । যেহেতু আমাদের ইসি করতে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছিল । তাই কোথায় সমস্যা তা জানতেই আমি এসেছিলাম । রাজভবন, উচ্চশিক্ষা দফতর ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - এই তিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে বিশ্ববিদ্যালয় । যেহেতু আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । তাই চাই না কোথাও ভুল বোঝাবুঝির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খামতি থেকে যায় ।"

সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সদস্য শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন । মাত্র 30 মিনিটের বৈঠকেই বেশ কিছু জট কেটেছে বলেই ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর । ব্রাত্য বসু বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই ওরা আমাদের সঙ্গে একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ চাইছিলেন অনেকদিন ধরে । আজকে আমি সেই সময় দিয়েছিলাম । ওদের যাঁরা অ্যাপয়েন্টটিং অথরিটি তিনি বা তাঁরা ওদের উপর চাপ তৈরি করছেন । যাতে এই সরকারের পক্ষে যে অধ্যাপক বা প্রাক্তন উপাচার্য আছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ।" বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গেই আছে বলে দাবি ব্রাত্যর ।

তিনি আরও বলেন, "ওরা বলতে চাইছেন ওদের অ্যাপয়েন্টটিং অথরিটি কেউ থাকতেই পারে কিন্তু ওরা সরকারের সঙ্গেই আছে । একই সঙ্গে ওরা ওদের এক্সিকিউটিভ কমিটি মিটিংয়ের কথা বললেন । এগুলো পুরোটাই আইনি ব্যাপার, সুপ্রিম কোর্টের অধীনে মামলার এক্তিয়ারভুক্ত হয়ে আছে । আমি এটা নিয়ে কোনও কথা বলতে পারছি না । আপনারা এগুলো বললেন আমি শুনলাম, আইনি পরামর্শ নেব ।"

আরও পড়ুন :

1 যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক ঘিরে বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্রাত্যর

2 উপাচার্য বনাম ডক্টরল কমিটির টানাপোড়েন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ভরতি ঘিরে সমস্যা

3 'অস্থায়ী উপাচার্যের ডাকা সিন্ডিকেট বৈঠক অবৈধ', কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি রাজ্যের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.