কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: বিধানসভার পর নবান্ন । নিরাপত্তায় নজর এবার রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবনেও । বুধবার সংসদে হামলার পর বিধানসভার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে বসেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । একইভাবে বৃহস্পতিবার নবান্নের নিরাপত্তা নিয়েও বৈঠক হয় । এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা । ছিলেন রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা পীযূষ পাণ্ডে ।
এ দিন এই বৈঠকে মূলত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিভাবে নবান্নের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । এমনিতে নবান্নে প্রবেশ এবং বেরনোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বলয় রয়েছে । তা যাতে সংসদের মতো ফোস্কা গেরোয় না পরিণত হয়, তা নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক রাজ্য প্রশাসন ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে নবান্নের গেটগুলিতে আরএফআইডি পদ্ধতি দ্রুত ব্যবহারের ক্ষেত্রে সওয়াল করা হয়েছে । যেখানে আগে থেকেই নবান্নের নিজস্ব কর্মীদের ছবি-সহ একটা ডেটাবেস সংরক্ষিত থাকবে । বহিরাগতদের ঢোকা ও বেরনোর ক্ষেত্রেও নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে ।
আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে এখানে থাকা কর্মীদের ছবি এবং ডেটাবেস মিলিয়ে প্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা সহজ হয় । যেহেতু এই মুহূর্তে নবান্নের ভেতরে এই প্রযুক্তি রয়েছে, গেটেও একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । গেটের পাশাপাশি কার পার্কিং সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের নিরাপত্তাও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে । নিরাপত্তার নজর গলে অতীতে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভকারীদের এই অংশে পৌঁছে যেতে দেখা গিয়েছে ।
সেক্ষেত্রে বারবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । কিন্তু আগামীতে যাতে এই সম্ভাবনা পুরোপুরি নিশ্ছিদ্র করা যায়, এ দিনের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর । এক্ষেত্রে নবান্নের পার্কিংয়ে যে সমস্ত গাড়ি ঢুকছে ও বেরোচ্ছে, তাদের উপর নজরদারি করতে বলা হয়েছে ৷ একইভাবে কারা ওই চত্বরে আসছে, তা নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে ।
নবান্ন সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে কোনও ধরনের গোয়েন্দা ব্যর্থতা যাতে না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ডিএ নিয়ে আন্দোলন ও ধরনা নবান্ন চত্বরে করার বিষয় একটা ইঙ্গিত দিয়েছে । আর সেক্ষেত্রে অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আন্দোলনকারীরা নবান্নের খুব কাছে যাতে না পৌঁছতে পারে, সেটাই প্রশাসন সুনিশ্চিত করতে চাইছে বলে খবর ৷
আরও পড়ুন: