কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "এটা স্পষ্ট যে, তৃণমূল সাংসদরা অপদার্থ। তাঁরা রাজ্যের দাবি, মানুষের দাবি নিয়ে সোচ্চার হতে পারেন না সাংসদ দিল্লি বা কেন্দ্রের কাছে। চোরি-চোরি, চুপকে-চুপকে দেখা করে এলেন। নতুন কিছু তো নয় ! যতবারই দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তা আসলে রাজনৈতিক বৈঠক করতে। কোনও দফতরের কোনও মন্ত্রী আমলা যান না। বিজেপিকে বলব কোন খাতে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, আর কত খরচ হল হিসেব দিন।"
এখানে সেলিমের আরও বক্তব্য, "দিদিকে শাড়ি দেওয়া হয়, মোদিকে পাঞ্জাবি দেওয়া হয়। এসব তো আগে থেকেই ছিল। বাইরে দাঁড়িয়ে বলছে 'লরকে লেঙ্গে' আর ভেতরে গিয়ে আদুরে বোন হওয়ার চেষ্টা করছেন। পুরনো দিনের কথা।" অন্যদিকে, 'ইন্ডিয়া' জোট প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য,
"আমাদের স্পষ্ট বার্তা বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী শক্তির সঙ্গে আমরা জোট করতে রাজি আছি। যে কোনও বামপন্থী দল তারা কখনও বিজেপির মত বিভাজনকারি দলের সঙ্গে বা যারা বিজেপিকে সমর্থন করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না।"
পাশাপাশি লালুপ্রসাদ যাদব ও তেজস্বী যাদকে ইডি'র তলব প্রসঙ্গে মমতাকেও আক্রমণ করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, "কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গেল দিল্লিতে তা বোঝাই যাচ্ছে । কয়লা, বালি, গরু, শিক্ষা দুর্নীতি সব জায়গায় তো চার্জশিট হওয়ার কথা ভাইপোর পরিবারের সবার নামে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো মানে মোদির ভাইপো এটাই বোঝাতে গেছেন দিল্লী।" কল্যাণ বন্দ্যোপধ্যায়ের মিমিক্রি নিয়ে তাঁর দাবি, এটাই আদতে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় শিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে। সেলিম বলেন, "মিমিক্রী মানে তো হরবোলা। বোঝা যাচ্ছে না কে কোথা থেকে কী আওয়াজ করছে, কী বলছে।"
অমৃতা সিনহার স্বামীকে তলব নিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক দাবি করে বলেন, "অশোক গঙ্গোপাধ্য়ায়কে কীভাবে হেনস্তা করা হয়েছিল মিথ্যে মামলায় ? তাঁর মুখ বন্ধ করা হয়েছে আগেও দেখা গিয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা যখন তাঁর পর্যবেক্ষণ বলেছেন তাঁকে হেনস্থা করা চলছে। এটা ধারা তৃণমূলের। ফাঁসানোর চেষ্টা করছে সরকার। গোটা রাজ্য প্রশাসন মিথ্যে মামলা আর মিথ্যাচার করে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।"
আরও পড়ুন: