কলকাতা, 15 এপ্রিল: প্রবল দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। আরও বেশ কয়েকদিন এমনই তাপপ্রবাহ চলার সর্তকবার্তা দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। তবে সেই গরমকে উপেক্ষা করেই ময়দানে চাকরির দাবিতে আন্দোলন জারি রেখেছেন চাকরি প্রার্থীরা ৷ শনিবার তাঁদের কাছেই মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে পৌঁছে গেলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷
চাকরির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা ৷ কখনও সল্টলেকের বিকাশ ভবনে, তো কখনও কলকাতায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে অনশন-আন্দোলনে নাছোড় রাজ্যের প্রাইমারি, টেট, এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা ৷ আর বাংলা নববর্ষের দিন যখন আপামর বাঙালি আনন্দে গা ভাসিয়েছেন সেদিনও পরিবার থেকে দূরে, তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় চাকরি প্রার্থীরা ৷ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নিচে অস্থায়ী ভাবে ত্রিপল খাটিয়ে চাকরির দাবিতে বসে থাকা সেই আন্দোলনকারীদের কাছে এদিন পৌঁছে গেলেন মহম্মদ সেলিম ৷
এদিন চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে গিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ৷ চাকরি প্রার্থীদের কাছে মিষ্টি পৌঁছে দিয়ে এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন,"গত কয়েক মাস ধরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে । কিন্তু সেটিংয়ের মাহাত্ম্য এমন যে এখনও তারা এইসব ডকুমেন্ট, কাগজ, সোনা দানা, টাকা-পয়সা এদিক ওদিক লুকিয়ে রেখেছে । সবাই ভাইপোর মতো বিদেশে পাচার করতে পারেনি যে থাইল্যান্ড, লন্ডন, নিউইয়র্কে টাকা পয়সা পাঠাবে। তৃণমূলের তলার থেকে উপর পর্যন্ত দুর্নীতি।"
আপার প্রাইমারি, এসএসসি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয় চাকরি প্রার্থীরা বছর খানেকের উপর অনশন, আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারী প্রত্যেকের সঙ্গেই এদিন দেখা করলেন সেলিম। কথাও বললেন তাদের সঙ্গে। তাঁদের হাত থেকেই নতুন বছরের মিষ্টিও খান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। সেলিমকে দেখে এদিন এক চাকরি প্রার্থী বিষণ্ণ মুখে প্রশ্ন করেন, "দাদা, আমাদের কী যে হবে!" যার উত্তরে সেলিম বলেন, "সিবিআই জীবনকৃষ্ণের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। এবার দেখা যাক আপনাদের জীবনের ছবির কী পরিবর্তন হয় !"
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর সেলিম বলেন, "এখন নতুন করে বলতে হচ্ছে গাজনের বাজনা বাজা। কে বিধায়ক, কে মুখ্যমন্ত্রী আর কে ভাইপো কিছুই আলাদা নয় ! আমরা শুধু বুঝি তৃণমূল মানেই চোর-দুর্নীতিগ্রস্ত। আর তাদের শাস্তি চাই।"