কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: নানা ইস্যুতে গত কয়েক মাসে কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে লাল ঝাণ্ডার কর্মসূচি বেড়েছে । সামাজিক মাধ্যম, সংবাদ মাধ্যমেও সিপিআইএম ও তার শাখা সংগঠনগুলির বিক্ষোভ, মিছিলের ছবি, ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে । বামেদেরও দাবি, আগের তুলনায় তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের ভরসা বাড়ছে । মিটিং মিছিলের বহর অনন্ত সেকথা বলছে বলেই মনে করছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim) ।
শনিবার বরাহনগরের এক জনসভায় সেলিম বলেন, "পশ্চিমবাংলায় লাল ঝাণ্ডার মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে । তাই, কী করা যাবে, সেটা স্থির করতেই অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্ত পরামর্শ করে গেলেন ।"
সূত্রের খবরে, মহম্মদ সেলিমের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) রাজ্য বিজেপি নেতাদের শনিবার প্রশ্ন করেছেন, কীভাবে বঙ্গে সিপিআইএম বাড়ছে । সব মিলিয়ে বাংলায় তৃণমূল বনাম বিজেপি'র 'লোক দেখানো' বিরোধিতার মাঝে ফের লাল ঝাণ্ডা মানুষ ফিরছেন বলে দাবি বাম নেতাদের ।
বরাহনগর সিপিআইএমের 1 ও 2 নম্বর এরিয়া কমিটির সভায় সেলিম আরও বলেন, "বাংলার সর্বনাশ করার পাশাপাশি সিপিআইএমকে শেষ করার জন্য অমিত শাহ মমতার কাছে ঠিকা দিয়েছিলেন । কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে বাংলায় লাল ঝাণ্ডার মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে ।" সেলিমের আরও বক্তব্য, " সভাঘর থেকে ভিআইপি পর্যন্ত সামান্য পথ পেরতেই অমিত শাহ মমতাকে তাঁর গাড়িতে তুলে নিলেন । গাড়িতেই আসল আলোচনা হয়েছে । যাকে বলা যায় 'চোরি চোরি চুপকে চুপকে' । বর্তমান সময়ে এভাবেই এগজিকিউটিভ প্লেনে, গাড়িতে একান্তভাবে অপরাধ জগতের ডিল হয়ে থাকে। এঁরা কেউ লিডার নন, আসলে এঁরা ডিলার।"
আরও পড়ুন: বিএসএফের চৌকি গড়া নিয়ে জমিজট কাটাতে মমতা-অমিত একান্ত বৈঠক, দাবি শুভেন্দুর
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ডিসেম্বর তথ্যকে তীব্রভাবে ব্যঙ্গ করে মহম্মদ সেলিম বলেন, "আসলে এগুলি রাজনৈতিক জুয়া খেলা । 'খেলা হবে' ঘোষণা করেও সেভাবে খেলার লোক হয়নি তৃণমূলে, কার্নিভাল রাজনীতি করেও তৃণমূলকর্মীদের সাড়া মেলেনি ৷ কারণ সব খেলার পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে । কেলেঙ্কারিতে নেতা, মন্ত্রীরা ধরা পড়ছেন । "