কলকাতা, 14 অক্টোবর: শহরের রাস্তায় কেইআইআইপি-র কাজ চলার জেরে বেহাল পরিস্থিতি ৷ টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে রাস্তার এই অবস্থা নিয়েই মেয়রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক নাগরিক ৷ তারপর রাস্তার হাল ফেরাতে ডিজিকে (রাস্তা বিভাগ) নির্দেশ দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ 'ডেটলাইনও' দিয়েছিলেন মহালয়া ৷ পুজোর সময় যাতে কোনও সমস্যা না-হয় তাই দ্রুত রাস্তা সারানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মহানাগরিক ৷ সেই মতোই মহালয়ার আগে শুক্রবার রাতে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের রাস্তার হাল-হকিকত পরিদর্শন করলেন ফিরহাদ।
এদিন রাতে মেয়র সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে প্রথমে যান শ্যামবাজার, তারপর উল্টোডাঙা, বেলেঘাটা, শিয়ালদা, পার্ক স্ট্রিট, বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট মোড় এবং গোলপার্কের রাস্তা পরিদর্শন করেন। এরপর যান টলিগঞ্জ, নিউআলিপুর, বেহালা ও জোকার রাস্তা পরিদর্শন করতে। মেয়রের সঙ্গে রাস্তা পরিদর্শনে ছিলেন কলকাতার কর্পোরেশনের একাধিক বিভাগের আধিকারিকরা। ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারও । রাস্তার পাশাপাশি এলাকার জল, নিকাশি ব্যবস্থা ও আলোর অবস্থা খতিয়ে দেখেন মহানাগরিক ।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই রাস্তা সারাই থেকে ভ্যাট পরিষ্কার নিয়ে পৌরনিগমকে চিঠি লালবাজারের
বেহালা, যাদবপুর এলাকার একাধিক রাস্তায় কলকাতা কেইআইআইপি-র কাজ চলে ৷ তার জেরেই রাস্তার একাধিক এলাকা খানাখন্দে ভরা ৷ একপ্রকার বেহাল দশা বললেও ভুল বলা হয় না । সম্প্রতি কেইআইআইপি আধিকারিকদের ও কর্মরত ঠিকা সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসে মেয়র নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুজোর আগে রাস্তা যান চলাচলের যোগ্য করতে হবে ।
মহানাগরিকের নির্দেশ মেনেই রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কেইআইআইপি-র রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয় । এরপর কলকাতা পুলিশের তরফে প্রায় 300টি রাস্তার তালিকা দেওয়া হয়েছিল যেখানে ছোট-বড় মেরামতির কাজের প্রয়োজন বলে উল্লেখ ছিল ৷ এই রাস্তার কাজও শেষ হয়েছে ৷ ডেটলাইন মেনে মহালয়ার আগেই রাজপথ মেরামত হয়েছে ৷ এরপরই পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন মেয়র-সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা ৷