কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি : মৃত্যু হল CPI(ML)-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক কাঞ্চনের। গতকাল দুপুরে টালিগঞ্জের MR বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৮। তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছে APDR। সংস্থার কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জিত সুরের বক্তব্য, "স্ট্রোক হওয়ার পর ৭ ঘণ্টা ফেলে রাখা হল। ন্যক্কারজনক বিষয়। এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে হার্ট এবং নিউরোলজি চিকিৎসার অত্যাধুনিক সুযোগ নেই। এটা রাষ্ট্রীয় হত্যা।" ঘটনার প্রতিবাদে আজ রাজ্যের সবকটি জেলে অনশনে বসছেন রাজনৈতিক বন্দীরা।
২০১০ সালের ৩ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন মাওবাদী সুদীপ চোংদার ওরফে কাঞ্চন। ময়দান থেকে কলকাতা পুলিশের STF তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তখন থেকেই জেলবন্দী কাঞ্চন। জেল সূত্রে খবর, ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আলিপুর জেলে তাঁর স্ট্রোক হয়। নিয়ে যাওয়া হয় টালিগঞ্জের MR বাঙুর হাসপাতালে।
একসময় মাওবাদীদের সংগঠনে কিষেণজির পরেই কাঞ্চন ছিলেন। সংগঠনে তাঁর নাম বাতাস। জঙ্গলমহলে মাওবাদী আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। EFR ক্যাম্পে হামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া, CPI(M) নেতা অনুজ পাণ্ডের বাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাতেও নাম উঠেছিল। সাঁকরাইল থানার OC অপহরণের ঘটনাতেও অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ যখন কাঞ্চনকে গ্রেপ্তার করে তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনিল ঘোষ (অজয় দা), বরুণ সুর (বিদ্যুৎ) ও শংকর (বাচ্চু)। তাঁদের গ্রেপ্তারির পর সোদপুরসহ কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়।
জেল সূত্রে খবর, কাঞ্চন জেলে সম্পূর্ণ অন্যধরনের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। শান্তিপ্রিয় ছিলেন। জেলের ভিতর তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড খুবই ভালো ছিল।