কলকাতা, 20 এপ্রিল: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে আহত হলেন 22 জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ পাশাপাশি কয়েকজনকে বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে রয়েছে একজন নাবালিকাও। বৃহস্পতিবার, গার্ডেনরিচ বাজার এলাকার একটি দোকানে আচমকা রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফাটে। যার জেরে ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন ৷ দমকলের চারটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ি সংলগ্ন একটি দোকানে রান্নার সময় প্রবল বিষ্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা ৷ ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার দরুণ আশপাশের দোকানেও দ্রুত ছড়িয়ে যায় আগুন ৷ পুলিশের দাবি, এরপর আরও তিনটি সিলিন্ডারে পরপর বিষ্ফোরণ ঘটে ৷ যার জেরেই আহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে খবর ৷ বিষ্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে এসএসকেএস হাসপাতালে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷
জানা গিয়েছে, বিষ্ফোরণের প্রায় পরপরই এলাকার বাসিন্দারা দমকল এবং স্থানীয় থানায় খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ৷ সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে এলাকার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকানেও আগুন লেগে যায়। দোকানের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মহম্মদ ফয়জল নামে এক পথচারী গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
অন্যদিক, কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা ৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর দোকানগুলি থেকে জিনিসপত্র সরিয়েও বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত প্রত্যেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: 'মামলা হবেই, কোনও বেঞ্চ আপনাকে বাঁচাবে না', শুভেন্দুকে আক্রমণ অভিষেকের
তবে কীভাবে গ্যাস সিলেন্ডারটিতে বিস্ফোরণ হল সে বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ার ফলে একসঙ্গে এত মানুষের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, বিস্ফোরণ হওয়ার পরই গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। দমকল এবং পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই এলাকার বাসিন্দারা প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, ঘিঞ্জি জায়গায় আগুনের ফুলকি থেকেই প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। লালবাজার সূত্রের খবর ঘটনার নেপথ্যে কী আছে তা জানার জন্য ঘটনাস্থলে আসতে পারেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।