কলকাতা, 15 মে: জল তোলাকে কেন্দ্র করে প্রথমে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝামেলা ৷ পরে সেই ঝামেলা পৌঁছয় হাতাহাতিতে ৷ হাতাহাতির পর সে ঘটনা ঘটল অন্তিম পর্যায়ে। রাগে এক ব্যক্তির উপর কাঁচি নিয়ে চড়াও হল আরেক প্রতিবেশী! ধারালো কাঁচি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত।
মৃতের নাম সাজাদ খান। মৃতের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে, কড়েয়া থানা এলাকার কুষ্টিয়া রোডে। ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত পলাতক। তার নাম সামির খান। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। কড়েয়া থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 নম্বর ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কুষ্টিয়া রোডে ধারে একটি জলের কল রয়েছে। সেই কল থেকে কে আগে জল নেবে সেই নিয়ে অভিযুক্ত সামির খানের বাবার সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সাজাদ খানের। পরিবারের সদস্যরা সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান। জল ভরা নিয়ে ঝামেলা শুরু হতেই পরিস্থিতি ধাক্কাধাক্কিতে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: পণের দাবি না-মানায় বধূ খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে, অভিযুক্তরা পলাতক
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আচমকাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে অভিযুক্ত আমির খান। মূলত সামির খানের বাবার সঙ্গে মৃত সাজাদ খানের সেই সময় ঝামেলা চলছিল। আচমকাই হাতে একটি ধারালো কাঁচি নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে সাজাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সামির। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাজাদ খান। প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি জখম সাজাদ খানকে রক্তাক্ত অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর শরীরে এত আঘাত ছিল এবং দেহে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তবে ততক্ষণে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সামির খান। ঘটনাস্থলে আসে কড়েয়া থানার পুলিশ ৷ পাশাপাশি আসেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারাও। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে স্থানীয় থানায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে।